ঢাকায় নদীতীরে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে
ইয়াছির আরাফাত : শনিবার সকালে কামরাঙ্গীরচর খোলামোরা ঘাট এলাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেউ আবার নদী দখলের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সূত্র : বিডিনিউজ ও বাংলাট্রিবিউন
মসজিদ-মাদ্রাসা স্থাপনের নামে নদীর তীর দখল নয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বলেন, ‘আমরা ইসলামী চিন্তাবিদদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, অবৈধ জায়গায় মসজিদ হতে পারে না। তাই আমরা অবৈধস্থানে স্থাপিত মসজিদগুলো অপসারণ করে অন্য একটি স্থানে স্থাপনের ব্যবস্থা করছি।
নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে নদীকে দূষণমুক্ত করা হবে। অবৈধ জায়গায় কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকলে তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে। এই কর্মকা-ে কেউ বাধা দিতে এলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকল্পের আওতায় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমি সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়েসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। নদীর তীরভূমি ৫২ কিলোমিটার এলাকায় হাঁটার পথ ছাড়াও ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে, নির্মাণ করা হবে তিনটি ইকোপার্ক, ১৯টি আরসিসি জেটি, ১০০ টি আরসিসি সিঁড়ি, ৪০৯টি বসার বেঞ্চ ইত্যাদি। এ প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, এই প্রকল্পের ব্যয়ের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।