বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিক অবরোধ
শাহীন চৌধুরী : দেশের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে শ্রমিকদের অবোরোধ কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠি চার্জ ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় শ্রমিক আন্দোলন কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদসহ ১২ আন্দোলনকারী শ্রমিক নেতাকে পুলিশ আটক করেছে।
বিদুৎকেন্দ্রটিতে নিয়োগের দাবিতে গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া শ্রমিকদের অবোরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে রবিবার বেলা ১১টায় শ্রমিকদের সাথে এই লাঠিচার্জ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠি চার্জে অন্তত ২০ শ্রমিক আহত হয়েছে।
পুলিশের হাতে আটক হওয়া অনান্য শ্রমিক নেতারা হলেন, আরিফুল ইসলাম, মাজেদুল ইসলাম, মনোয়ার হোসেন, আব্দুল আজাদ, মমিনুল ইসলাম, মাজেদুল হক, জিয়াদুল হক ও শাহিনুর রহমান। এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক শ্রমিক নেতাদের মুক্তির দাবি করে আবারো কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শ্রমিকরা।
এদিকে পুলিশের লাঠিচার্জ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর আন্দোলরত শ্রমিকরা সংগঠিত হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে, সেখানেই কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিক অধিকার আন্দোলন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি শাহাজান। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম, আরিফ, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফুলবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক নূর আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
শ্রমিক অধিকার আন্দোলন কমিটির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ও আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য দাবি পূরণের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করে আসছিল, কিন্তু পুলিশ বিনা উসকানিতে হঠাৎ করেই লাঠিচার্জ শুরু করে। বড়পুকুরিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক সুলতান মাহমুদ বলেন, আন্দোলনকারীরা দাবি আদায়ের নামে ফুলবাড়ী-পাবর্তীপুর সড়ক অবরোধ করে যানচলাচলে বিঘœ ঘটায়। এতে করে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের বারবার অনুরোধ করেও তারা সড়ক থেকে সরে না যাওয়ায় কারণে তাদের মৃদু ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে তুলে দিয়ে ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদুৎকেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ ও অনান্য আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিদুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, আন্দোলনকারীরা তাপ বিদুৎকেন্দ্রের নির্মাণকালীন একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে উন্নয়ন কাজ করেছিলো, এখন উন্নয়ন কাজ শেষ। আবারো যখন তাপ বিদুৎকেন্দ্রে জনবল প্রয়োজন হবে তখন তাদের কাজে লাগানো হবে, এখন জনবলের প্রয়োজন নেই। তবে সরকারিভাবে নিয়োগের ব্যাপারে আমাদের কিছুই করার নেই। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান