সার্বিক উন্নয়নে এনজিও’র প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য বললেন, কাজী খলিকুজ্জমান
ইউসুফ বাচ্চু : পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমেদ বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মরত এনজিও এবং নাগরিক সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
রোবাবার ‘মানবিক সহায়তা ও উন্নয়নে ইতিবাচক সম্পৃক্ততার জন্য জবাবদিহিতা ও স্থানীয়করণ’ শীর্ষক জাতীয় কনভেনশনে তিনি একথা বলেন। দেশের উন্নয়নে সমান অংশীদার স্বীকৃতির দাবিতে রাজধানী কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত দিনব্যাপী জাতীয় কনভেনশনে জড়ো হয় সারা দেশের তৃণমূল পর্যায় থেকে আসা ৭০০ নাগরিক সংগঠন ও এনজিও প্রতিনিধিরা। গতকাল কোস্ট ট্রাস্ট ও অক্সফামের সহায়তায় সিএসও-এনজিও সমন্বয় প্রক্রিয়া (বিডি সিএসও কোঅর্ডিনেশন) আয়োজিত কনভেনশনে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিস. মিয়া সেপ্পো কনভেনশনে উব্দোধনী বক্তৃতা করেন। সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
এতে ড. আতিউর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রত্যাশাব্যাঞ্জক বিভিন্ন উপাত্ত উপস্থাপন করে বলেন, স্থানীয় এনজিও যেমন সরকারের কাজে সম্পূরক ভূমিকা রাখবে, সহায়তা করবে তেমনি তাদেরকে সৃজনশীলও হতে হবে। এভাবেই বাংলাদেশ নতুন যুগের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।
প্রথম অধিবেশনে স্থানীয় সিএসও-এনজিওদের আত্ম-জবাবদিহিতা সনদ তুলে ধরেন মোস্তফা কামাল আকন্দ ও অক্সফামের মনজুর রশীদ, যেখানে ঘোষণা করা হয় স্থানীয় সংগঠনগুলো প্রভাবিত জনগোষ্ঠী ও তাদের মূল্যবোধের কাছে স্বচ্ছতার সাথে জবাবদিহিতা করবে। দ্বিতীয় অধিবেশনে সরকার, আন্তর্জাতিক এনজিও, দাতা সংস্থার কাছে তৃণমূল সংগঠনসমূহের প্রত্যাশা সংবলিত সনদ ঘোষণা করেন কোস্টের বরকত উল্লাহ মারুফ ও ডিজাস্টার ফোরামের নইম গওহর ওয়ারা। সেখানে সরকারের কাছে উন্নয়ন ও দারিদ্র বিমোচনে কর্মরত এনজিওদের কাজের স্বীকৃতি দাবির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে স্বচ্ছ অংশিদারী প্রক্রিয়া ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম স্থানীয়দের হাতে হস্তান্তরের দাবি তোলা হয়। দাতাদের কাছে প্রত্যাশা করা হয় তারা যেন তৃণমূল থেকে জবাবদিহিতার দাবি উত্থাপনের প্রক্রিয়া জারি রাখার কাজে বিনিয়োগ করেন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান