আরিফা রাখি : গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের ডাকা হরতাল চললেও রাজধানীর বিভিন্ন অঞ্চলে যানজটের চিত্র দেখা গেছে। বিশেষ করে পল্টন মতিঝিলের রাস্তাসহ রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তায় ব্যাপক যানজট হয়েছে। গত ৩০ জুন সরকারের পক্ষ থেকে গ্যাসের মূল্য দুই চুলায় ৮০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ এবং এক চুলার জন্য ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে ৯৫০ টাকা করার ঘোষণা দেয়া হয়। সরকারের নির্দেশ ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রোববার (৭ জুলাই) দেশব্যাপী আধাবেলা হরতাল ডাকে বাম জোট। পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হয়। বামজোটের হরতালে সমর্থন দিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি।
হরতাল শুরুর পর রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায়, সকাল সাড়ে আটটার পর থেকে রাস্তায় যান চলাচল বাড়তে থাকে। ৯টার পর পর বেশ কিছু রুটে গাড়ির চাপে যানজট বেধে যায়। তবে গণপরিবহনে থেকে ব্যক্তিগত পরিবহনের চাপ বেশি দেখা গেছে। রাজধানীর যে কয়টি রুটে যানজটের চিত্র দেখা গেছে, তার মধ্যে অন্যতম মালিবাগ থেকে পল্টন-মতিঝিল।
অপরদিকে, বামজোটের শান্তিপূর্ণ হরতালে গাড়ি ভাঙচুর করেছে হরতালকারীরা। রোববার সকালে হরতালের সমর্থনকারীরা রাজধানীর পুরানাপল্টন এলাকায় পিকেটিং ও গাড়ি ভাঙচুর করে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। তারা জানান, হরতালকারীরা সকাল ৮টার পর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ে মারতে থাকে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান নিলে তারা জায়গা ত্যাগ করে। এ সময় পুরানা পল্টনে অন্তত ২ শতাধিক হরতালকারী অবস্থান করছিলো বলেও জানান প্রতক্ষ্যদর্শীরা। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ইসমাইল হোসাইন (শাহবাগ জোন) জানান, কোথাও কোন বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি। প্রতিটি মোড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
এদিকে, গ্যাসের মূল্য কমানোর দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট তাদের পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করে, ১৪ই জুলাই সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মোশারফ হোসেন নান্নু বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও সহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। দাবি না মানা হলে ১৯ জুলাই ঢাকায় প্রতীকী সমাবেশ করে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান