মনজুর অনিক : রোববার জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউছার আলমের আদালতে বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল আমিনের মামলার শুনানি শেষে এ রিমা- মঞ্জুর করেন। এর আগে শনিবার পৃথক দুটি মামলায় ১০ দিন করে রিমা- আবেদন করে আল আমিনকে কোর্টে হাজির করে পুলিশ। ওই সময় আদালত শুনানির জন্য গতকাল রোববার দিন ধার্য করেছিলেন। আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র্যাব বাদি হয়ে করা মামলাটি শুনানি পরে হবে। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান অধ্যক্ষের ৫ দিনের রিমান্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই মাদরাসার যৌন নির্যাতিত সব শিক্ষার্থীদের পরিবারের পক্ষে একজন অভিভাবক একটি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র্যাব বাদি হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
উভয় মামলায় উল্লেখ আছে, মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালে একাধিক ছাত্রীকে মূলত পানি পানের কথাবলে ঘরে ডেকে নিতেন আল আমিন। এ ছাড়া বইপত্র গোছানোসহ নানা ইস্যুতে ছাত্রীদের নিজের ঘরে ডেকে নিতেন তিনি। আর ওই সময়েই ধর্ষণের পর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে ব্ল্যাকমেলিং করে মুখ বন্ধ রাখতেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ছাত্রীর মাথা কেটে অন্য পর্নোগ্রাফি ছবির সঙ্গে যুক্ত করতেন আল আমিন। আর এসব ছবি দেখিয়ে ওই ছাত্রীদের ব্ল্যাকমেইলিং করা হতো। র্যাব-১১ সিনিয়র সহকারী পরিচালক আলেপ উদ্দিন জানান, র্যাবের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ওই শিক্ষক মাদরাসার ১০-১২ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগসহ তার মুঠোফোন ও কম্পিউটারে তল্লাশি চালিয়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও পাওয়া গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিশুদের ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন। তাছাড়া ঘটনার দিন মিডিয়ার সামনে ধর্ষণকারী আল আমিন স্বীকার করেন, তিনি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ করেছেন।