নুর নাহার : শিশুদের নিরাপদ রাখার জন্য আমাদের যে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো, মানবতাবোধ ও আইনানুগ ব্যবস্থার দরকার সেগুলো এখনো চাহিদার তুলনায় অনেক অপ্রতুল। বিশেষ করে যোগাযোগ পদ্ধতিতে যে ধরণের সুরক্ষা পাওয়া দরকার সেগুলো পাচ্ছি না, বললেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ শাবনাজ যাহেরিন। বিবিসি বাংলা ৭:৩০
তিনি বলেন, আসলে শিশুদের ওপর ঘটনাগুলোকে কেউই সেভাবে আমলে নেন না। যেমন সমাজ কল্যাণের সমাজ কর্মীদের থাকার কথা সাধারণ বোধের স্তর থেকে এবং একজন পরিদর্শক যার একটি বিশেষ রোল আছে। দেখা যায় অনেক জায়গাতেই চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। তারা ভালো কৌশলি না। শিশুদের এ বিষয়গুলো, যেভাবে দেখা উচিত এবং একটি শত্তিশালী ব্যবস্থানা থাকা উচিত সেগুলো আমাদের এখানে গড়ে ওঠেনি।
স্কুলে যে শিশুরা লেখাপড়া করছে তাদের নিরাপত্তার কথা আগে ভাবতে হবে। কেউ শিশুর স্কুলে যেতে চাইলে আগে তার ছবি তোলা হয় এবং একটি আইডি কার্ড দেয়া হয়। এ ধরণের পদ্ধতি শুধু শহরেই দেখা যায় গ্রামে এখন পর্যন্ত দেখা যায় না। আর সমাজে, ফ্লাট বাসায় পারিবারিক একটি ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার। শিশুরা কোথাও গেলে কে সাথে যাবে সে নিশ্চিয়তা আছে কিনা। এগুলোও এখন পর্যন্ত ঠিক নেই।
বাইরের দেশগুলোতে শিশুদের জন্য সমাজ কল্যাণ বিভাগের আলাদা একটি বিভাগই রয়েছে যেখানে সমাজকর্মীরা নিয়মিত হোম ভিজিট করে। বাড়ি পরিদর্শনের ব্যবস্থা থাকা দরকার তা এখনো নেই আমাদের। এটি আমাদের আইনে আছে কিন্তু কোনো অর্থ বা জনবল বরাদ্ধ দেয়া হয়নি।
শিশু ধর্ষণ ঠেকানোর জন্য স্কুলে প্রত্যেক ছেলে এবং মেয়ে শিশুর জন্য আত্মসচেতনবোধ শিখাতে হবে। শুধু মেয়েদের কে নয় পাশাপাশি ছেলেদেরকেও জানতে হবে। তাদের এই মূল্যবোধটি দিতে হবে যাতে তারা এধরণের হয়রানি ভবিষতে না করে। আরেকটি হচ্ছে শাস্তির ব্যবস্থা করা। মামলা হচ্ছে, গ্রেফতারও হচ্ছে কিন্তু দৃষ্ঠান্তমূলক কোনো শাস্তি হচ্ছে না, যা দেখে আরেকজন ভয় পাবে।
আইনের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কিছুটা হলেও এই ধরনের অপরাধ ঠেকানো সম্ভব। কারণ তারা দেখছে যে আমরা পাড় পেয়ে যাবো কর্মকর্তারা তাকে ধরতে পারবে না বা খুঁজে পাবে না তখন তারা ভয় পাবে না। সম্পাদনা : রাকা চৌধুরী