ইসমাঈল ইমু : রাজধানীর লালবাগে খাদেম হানিফ শেখ (৩০) হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এই হত্যাকা-ের অভিযুক্ত প্রধান আসামি সহযোগী খাদেম সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে সংস্থাটি।
গতকাল মঙ্গলবার পিবিআইর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান পুলিশের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ওই মসজিদে তিনজন খাদেম ও একজন পরিচ্ছন্ন কর্মী কর্মরত ছিল। এদের মধ্যে আসামি সাইফুল সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতো না। ফলে আবু হানিফকে প্রধান খাদেম বানানো হয়। ও সাইফুলকে তার সহযোগী করা হয়। সাইফুল হানিফের প্রধান খাদেম হওয়া মেনে নিতে পারেনি। হানিফের বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা উপেক্ষা করতো সে।
এদিকে গত ২ জুলাই জোহরের নামাজ পড়তে গিয়ে হানিফ সাইফুলকে একটি কাজ দেন। সে কাজটি করতে অস্বীকার করলে, দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর দুপুরের খাবার শেষ করে হানিফ মসজিদের পাশে তার রুমে ফ্লোরে ঘুমিয়ে পড়েন। এই সুযোগে সাইফুল দরজা লাগিয়ে রান্না ঘর থেকে একটা চাকু এনে হানিফের বুকে ও গলায় একের পর এক আঘাত করে। হানিফ জেগে উঠলে এক হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে, সাইফুল উপর্যুপরি হানিফের বুকে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। তারপর তিনি বাইরে থেকে প্লাস্টিকের বস্তা ও পলিথিন নিয়ে আসেন। সেই পলিথিন এর মধ্যে পেচিয়ে বেলকুনিতে একটি বাঁশে ঝুলিয়ে রেখে দেয়। তার ইচ্ছে ছিলো ভাঙ্গা কোনো কবরে লাশ ফেলে দিয়ে গুম করে দিবে। সুযোগ না পেয়ে সাইফুল তার বাবা মারা গেছে বলে রাতেই চলে যান। রাত যতো গভীর হতে থাকে, খুন হওয়া খাদেম হানিফের লাশের গন্ধ ততো বের হয়ে আসে। পরবর্তী সময়ে ক্লিনার ও অন্য আরেকজন খাদেম লাশ খুঁজে পান। সম্পাদনা : ওমর ফারুক