ইসলামী পর্যটন বিপুল সম্ভাবনাময় একটি খাত, বললেন প্রধানমন্ত্রী
ইয়াছির আরাফাত : ইসলামী পর্যটনকে ‘বিশ্ব বাণিজ্য ব্র্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তুলতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও রোডম্যাপ প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘ঢাকা অ্যাজ দ্য ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম ২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান। সূত্র : বাংলানিউজ, বাসস ও জাগোনিউজ
ওআইসি এবং এ সংগঠনভুক্ত দেশগুলোর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইসলামী পর্যটনকে ‘বিশ্ব বাণিজ্য ব্র্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও রোডম্যাপ থাকা জরুরি। ইসলামী পর্যটনের বিকাশে আন্ত-ওআইসি পর্যটক প্রবাহ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভিসা সহজীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্র্যান্ডিং ও মানোন্নয়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। থমসন-রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৫ সালে ইসলামী পর্যটনের বাজার ছিলো ১৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের, যার মধ্যে ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের বাজার ছিলো প্রায় ১০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ইসলামী পর্যটনের বাজার বার্ষিক ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বেড়ে ২০২১ সাল নাগাদ ২৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে। ইসলামী পর্যটনের বিশাল আকার ও বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ওআইসির ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে মুসলিম ট্যুরিস্টের সংখ্যা ১৫৬ মিলিয়ন, যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০ মিলিয়ন। একই বছর সারাবিশ্বের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ হবে মুসলিম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহ পর্যটন খাতের অবকাঠামো ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তাদের বেসরকারি খাতকে একক ও যৌথভাবে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ প্রদান করবে।
নবরূপে বিকাশমান ইসলামী অর্থনীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসলামী অর্থনীতি’ বর্তমানে নবরূপে বিকাশ লাভ করছে। হালাল ফুডস, ইসলামী ফাইন্যান্স, হালাল ফার্মাসিউটিক্যালস এবং প্রসাধনী, হালাল পর্যটন ইত্যাদি ইসলামিক অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান খাত। এ খাতগুলো বিকাশের জন্য ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব একান্ত প্রয়োজন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান