বিশে^ ইসলামী জঙ্গি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ গুণ
রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন এক পরিসংখ্যান বলছে, দেশটির অধিকাংশ সমর বিশেষজ্ঞ এখন মনে করছেন ইরাক বা সিরিয়া যুদ্ধের আদৌ কোনো মূল্য ছিল না। এমনকি অর্ধেক সমর বিশেষজ্ঞ বলছেন আফগানিস্তানে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কোনো মানে হয় না। এসব যুদ্ধে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় ছাড়াও লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির পর মার্কিন বিশেষজ্ঞদের কাছে তা মূল্যহীন মনে হচ্ছে। ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তান যুদ্ধে এসব সমর বিশেষজ্ঞ কিংবা মার্কিন জেনারেল প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন কিন্তু তারা এখন মনে করছেন এসব যুদ্ধের কোনো মানে ছিল না। সমীক্ষাটি পরিচালনা করেছে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ।
পরিসংখ্যান বলছে, ৬৪ ভাগ মার্কিন সমর বিশেষজ্ঞ মনে করেন ইরাক যুদ্ধের খরচ যদি মার্কিন স্বার্থের নিরিখে বিবেচনা করা যায় তাহলে তা কোনো কাজে আসেনি। ২০১১ সালে ইরাক যুদ্ধ শেষে ফের সেখানে আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নতুন করে যুদ্ধ শুরু করতে হয়েছে। ৫৮ শতাংশ সমর বিশেষজ্ঞ মনে করেন আফগানিস্তানে মার্কিন যুদ্ধের ইতিহাসে দীর্ঘ সময় ধরে তা চললেও তা অর্থহীন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি পেন্টাগনের তথ্য বলছে তালেবান ধীরে ধীরে আফগানিস্তানের অর্ধেক এলাকা নিজেদের অধীনে নিয়ে নিয়েছে। এমনকি সিরিয়া যুদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র অফিসিয়ালি ঘোষণা না করলেও ২ হাজার মার্কিন সেনা দেশটিতে যুদ্ধে অংশ নেয়। আফগানিস্তান ও সিরিয়া যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে।
আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়া যুদ্ধে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামিল হতে মার্কিন কোষাগার থেকে বেরিয়ে গেছে ৬ লাখ কোটি ডলার। এ বছরের শেষে আফগানিস্তানে এমনও মার্কিন সেনা অংশ নিতে যাচ্ছে যখন এ যুদ্ধ শুরু হয় তখন তার জন্মই হয়নি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এসব যুদ্ধ চলার পরও ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ইসলামি জঙ্গিদের সংখ্যা সারাবিশে^ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ গুণ। সম্পাদনা : ইকবাল খান