অর্ন্তজালে জনি’র ‘লাকী বাম্বো’
আবু সুফিয়ান রতন : সম্প্রতি অর্ন্তজালে মুক্তি পেয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লাকী বাম্বো’। প্রযুক্তি, প্রকৃতি ও জেনারেশন গ্যাপের মধ্যেকার টানাপোড়েনের ঘটনাকে উপজীব্য করে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন সাংবাদিক ও তরুন নির্মাতা তানজিল আহমেদ জনি। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের গল্পে দেখা যাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র জন তার ঘরে নতুন একটি লাকী বাম্বো গাছ কিনে আনে। ঘটনাক্রমে কিছুদিন পরে সেই গাছের সঙ্গে শুরু হয় জনের কথোপকথন। সেখানে গাছের বক্তব্যে ও জনের বিভিন্ন কাজের মধ্যে ফুটে উঠতে থাকে আমাদের পারিবারিক ও নাগরিক জীবনের কিছু অসঙ্গতি। এভাবে নানান নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যবনিকার দিকে এগিয়ে যায় ‘লাকী বাম্বো’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির কাহিনি। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণের পাশাপাশি কাহিনি, চিত্রনাট্য লেখার কাজটিও করেছেন নির্মাতা নিজেই। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি প্রসঙ্গে জনি বলেন, “আমরা নিজেদের ইচ্ছেগুলোকে কখনো কখনো খুব বেশি প্রাধান্য দেই। তখন নিজের জীবনের জন্য বেশিরভাগ ভুল সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করি। সেই মুর্হুতগুলোতে যিনি আমাদের শুভাকাক্ষি হয়ে পাশে থাকেন কিংবা বিনা স্বার্থে সুপরামর্শ দেন, আমরা তার সঙ্গেই আমাদের সুদিন ফিরে এলে সবার প্রথম প্রতারণা করি কিংবা তাকে জীবন থেকে বহু দুরে সরিয়ে দেই। কিন্তু যখন নিজের ভুলগুলো বুঝি তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের অনেক বেশি দেরি হয়ে যায়। মূলত এমন বিষয়গুলো আমি গল্পে লাকী বাম্বো গাছের মাধ্যমে রুপক অর্থে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।” কিন্তু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির টার্গেট অডিয়েন্স কারা এমন প্রশ্নে অত্যন্ত কৌশলী উত্তর দিলেন এই নির্মাতা। বলেন,“ সকল শ্রেণির ও সকল বয়সের দশর্কের কথা চিন্তা করেই আমি ‘লাকী বাম্বো’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির কনসেপ্ট নির্বাচন করেছি। আমাদের দশকর্রা ভালো কনসেপ্টের গল্প দেখতে চায়, মূলত আমি সেই বিষয়টাকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়েছি।” অন্যদিকে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি বিশেষ কি বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে এমন প্রশ্নে নির্মাতার সরল উত্তর। বলেন, “আমাদের রুচিশীর দশকর্রা ‘লাকী বাম্বো’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি দেখলেই খুব সহজেই আমার বার্তাগুলো বুঝতে পারবেন।” স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জন এবং ‘লাকী বাম্বো’ গাছের কন্ঠ দিয়েছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ভিভা।