ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বললেন, আয়ের বৈষম্য না কমালে পুরোপুরিভাবে দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব না
আমিরুল ইসলাম : বিশ্বে দ্রুত দারিদ্র্য বিমোচনে শীর্ষ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার দারিদ্র্য বিমোচনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে ইতোমধ্যে সফলতা অর্জন করেছে। দারিদ্র্য বিমোচনের বিষয়টি আরও দ্রুততর এবং টেকসই করার জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন? জানতে চাইলে বাংলাদেশে ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আয়ের বৈষম্য না কমানো হলে দীর্ঘমেয়াদিভাবে সামাজিক উন্নতি ও পুরোপুরিভাবে দারিদ্র্য বিমোচন করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যসীমা ২৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। ২০-৩০ বছর আগে যেটা ৪০-৪৫ শতাংশ ছিলো। সরকারের পক্ষে এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে যারা দারিদ্র্যসীমার নিচ থেকে উঠে এসেছে তারা যেন অবার নিচে নেমে না যান। তাদের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি আয়ের উৎস ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা না করলে তারা আবার দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে। অসুস্থ হয়ে গেলে তারা যেন সহজে এবং সুলভ মূল্যে সেবা পান তার ব্যবস্থা করতে হবে। বেসরকারিভাবে স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে অনেকে আবার দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। তাদের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও টেকসই আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের দেশে চরাঞ্চলে একেবারে হতদরিদ্র কিছু মানুষ আছে। তাদের জন্য বিশেষভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। জলবায়ুর জন্য যারা শরণার্থী হচ্ছে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। এই শ্রেণির জন্য প্রথমে খাদ্যের সংস্থান, থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। তারপর তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। আয়ের বৈষম্য দিনে দিনে বাড়ার কারণে নি¤œমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের উপর চাপ বাড়ছে।