নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনার সন্ধান ও নিবিড় অংশীদারিত্ব বাড়ানোই লক্ষ্য
স্বপ্না চক্রবর্তী : নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা খুঁজে দেখা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আরও নিবিড় অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কলকাতায় গতকাল সোমবার থেকে কলকাতায় শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী সিডব্লিউবিটিএ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ট্রেড সামিট-২০১৯। বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের নেতা হিসেবে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। সামিটে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করে শেখ ফজলে ফাহিম জানান, দুই দেশের মধ্যে নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনার সন্ধান এবং নিবিড় অংশীদারিত্ব বাড়ানোর লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি এতে সফল হবো। তিনি জানান, আয়োজিত সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে ব্যবসা সম্ভাবনার সন্ধান, বৈদেশিক বাণিজ্য সহজীকরণে সুপারিশমালা প্রণয়ন, রপ্তানি পণ্যের তালিকা নিয়ে আলোচনা এবং তথ্য বিনিময়।
শেখ ফজলে ফাহিম বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর অবকাশ, কর অব্যাহতি, ট্যারিফ ফেরত, দ্বৈত কর প্রতিরোধ এবং ১০০% মালিকানাসহ পুঁজি হস্তান্তরের সুযোগ রেখেছে। তিনি বাণিজ্য বহুমূখীকরণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, হিমায়িত সামুদ্রিক খাদ্য, সিরামিক, পাটপণ্য, তথ্য প্রযুক্তি এবং হোম এ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদির সম্ভাবনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু উন্নততর অর্থনৈতিক কাঠামোতে উন্নীত হচ্ছে তাই সম্ভাবনাময় কিছু খাতে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো হালকা, মাঝারি ও ভারী শিল্পের জন্য যৌথ উদ্যোগে উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন, তৃতীয় শিল্প বিপ্লব থেকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে উন্নীতকরণের এ লগ্নে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রাজস্ব কাঠামো ও নীতি পরিকল্পনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময় এবং সমুদ্র অর্থনীতির বিকাশে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ।
এফবিসিসিআই সূত্রে জানা যায়, কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফরহাদ হাকিম প্রধান অতিথি হিসেবে দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্রও অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। সম্মেলনে থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নিচ্ছেন। কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড এসোসিয়েশনস সম্মেলনটির আয়োজন করেছে। সম্পাদনা : কাজী নুসরাত