আইসিসির বিশ্বকাপের সেরা একাদশেও সাকিব
শিউলী আক্তার : গত রোববার শেষ হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১২তম আসর। অনেক রূপকথার জন্ম দিয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে থাকলেও ম্যাচ জয়ে কিউই অধিনায়ক কেন উইলয়ামসনের অবদান বেশি থাকায় ব্যাটিং করে ৫৭৮ রান ও বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে আসরের সেরা হয়েছেন তিনিই। তবে সাকিব টুর্নামেন্ট সেরা না হলেও আইসিসি প্রকাশিত বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন এ অলরাউন্ডার।
আইসিসির একাদশে সুযোগ পাওয়া প্রথম বাংলাদেশি সাকিব আল হাসান। যিনি এই বিশ্বকাপে নিচের ক্যারিয়ারসেরা ফর্মে ছিলেন। দল গ্রুপপর্ব থেকে বাদ পড়লেও তার উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের কারণে পুরো আসরজুড়ে তার নাম উল্লেখ করতে হয়েছে সবাইকে। এই বিশ্বকাপে ক্যারিয়ারসেরা ফর্মে ছিলেন তিনি। দু’টি সেঞ্চুরিসহ ৫টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে ৬০৬ রান করেছেন। পাশাপাশি বল হাতে ১১টি উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তাছাড়া এক আসরে অলরাউন্ডার হিসেবে ৫০০’র বেশি রান ও ১০ উইকেটের মালিক এই অলরাউন্ডার।
আইসিসির প্রকাশিত একাদশে প্রথমে আছেন ভারতের ওপেনিং ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। ৯ ইনিংসে ৫টি শতক হাঁকিয়ে ৮১ গড়ে আসরের সর্বোচ্চ ৬৪৮ রান করেছেন। রোহিদের সঙ্গে ওপেনিং করবেন ইংল্যান্ডের জেসন রয়। সাত ম্যাচে ৩টি শতকে ৪৪৩ রান করেছিলেন তিনি।
বিশ্বকাপ একাদশের অধিনায়ক হিসেবে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের দলপতি কেন উইলিয়ামসন। দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়ে ফাইনালে উঠেও দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেননি। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে এক আসরে সর্বোচ্চ রানের পথে ৫৭৮ রান করেছেন। চারে আছেন ১১ ইনিংসে ৫৫৬ রান করা ইংলিশ রান মেশিন জো রুট।
ইংল্যান্ড দলের প্রথম শিরোপা জয়ের নায়ক বেন স্টোকস আছেন ছয়ে। ১১ ইনিংস খেলে ৪৬৮ রানসহ বল হাতে নিয়েছেন ৭টি উইকেট। উইকেটরক্ষক হিসেবে রাখা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাক্সে ক্যারিকে। ৩৭৫ রানের পাশাপাশি উইকেটের পিছনে থেকে ১৯টি ডিসমিসাল করেছেন তিনি।
বিশ্বকাপ সেরা একাদশের বোলিং লাইনে আছে ২৭ উইকেট নেয়া অজি পেসার মিচেল স্টার্ক, ইংল্যান্ডের শিরোপা জেতানো নায়ক জোফরা আরচার এবং নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে তোলা লকি ফার্গুসন। ভারতের যসপ্রিত বুমরাও আছেন তাদের সাথে। দ্বাদশ প্লেয়ার হিসেবে আছেন নাটকীয়তার জন্ম দেয়া ট্রেন্ট বোল্ট। যার কারণে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনাল সুপার ওভারের মুখ দেখেছে। সম্পাদনা : আক্তারুজ্জামান