আগামী ৫ বছরে বিশ্বে টেক্সটাইল কেমিক্যালের বাজার হবে ৩১৬ কোটি ডলারের
নূর মাজিদ : ২০১৭ সালে বিশ্বে টেক্সটাইল শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিকের বাজার ছিলো ২৫০ কোটি ডলারের। প্রতিবছর গড়ে সাড়ে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাজারটি ২০২৪ সালে ৩১৬ কোটি ডলারে উন্নীত হবে। নিউইয়র্ক ভিত্তিক বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চ গত সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক হওয়ায় বিপুল পরিমাণ টেক্সটাইল কেমিক্যাল প্রতিবছর আমদানি করতে হয়। স্থানীয় গার্মেন্টস খাতের চাহিদার কারণেই টেক্সটাইল শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছে। গে¬াবাল নিউজঅয়্যার ডটকম
টেক্সটাইল শিল্প নিজস্ব উৎপাদন কাজের জন্য পুরোপুরি রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। টেক্সটাইল রাসায়নিক বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে, যা কাপড়ের ধরন, রং ইত্যাদি বিষয়ের দ্বারা নির্ধারিত হয়। কাপড়ের ফিনিশিং, স্থায়িত্ব এবং গ্রিজিং করার মতো প্রভৃতি বিষয়ের ওপরও কেমিক্যালের ধরন নির্ভর করে।
বৈশ্বিক টেক্সটাইল বাজার অ্যাপারেল খাতের চাহিদার কারণেই মূলত বাড়ছে। কেমিক্যাল কাপড়ের রং, রঙয়ের মানও নির্ধারণ করে। প্রতিবেদনটি জানায়, অ্যাপারেল শিল্প সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বের অন্যতম প্রধান বিকশিত শিল্পে পরিণত হয়েছে। যার পেছনে অবদান রাখছে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় খাতটির উৎপাদন প্রবৃদ্ধি। কম উৎপাদন খরচ এবং স্বস্তাশ্রমের কারণে এই প্রবৃদ্ধি আরো বাড়ছে। তবে বিকশিত বাজারের পাশাপাশি চীন, ভারত এবং তুরস্কের মতো প্রতিষ্ঠিত বাজারগুলোর চাহিদাও টেক্সটাইল রাসায়নিকের বাজার বাড়াবে। এই দেশগুলো নতুন পণ্য উদ্ভাবন, বাণিজ্যিক জোট, গবেষণা এবং পণ্য উন্নয়ন কেন্দ্রের মাধ্যমে অ্যাপারেল বাজার প্রবৃদ্ধির পেছনে চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব