বাংলাদেশে খাদ্য গুদাম বাড়ানোর পরামর্শ দিলেন ড. আবুল বারকাত
জুয়েল খান : বাংলাদেশে যে পরিমাণে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় সেই তুলনায় ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম নেই। ফলে সরকার যতো ধান-চাল সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করুক না কেন সেটা তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন হবে না বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত।
তিনি বলেন, সরকার আপদকালীন সময়ের জন্য সরকারি খাদ্য গুদামে খাদ্য মজুদ রাখে। এখন বাংলাদেশে যে পরিমাণে খাদ্য গুদাম রয়েছে তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম ফলে বাড়তি খাদ্যপণ্য রাখার জন্য সরকারকে খাদ্য গুদাম বানানোর দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। খাদ্য গুদামের ধারণক্ষমতা না বাড়িয়ে সরকারের খাদ্য সংক্রান্ত জটিলতা কাটবে না। এখন সরকার আপদকালের জন্য যে খাদ্য মজুদ রাখে সেই খাদ্য বণ্টনের পরে আবার নতুন করে খাদ্য সংগ্রহ করে, ফলে সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হয়। এর প্রভাব পড়েছে এ বছর বোরো মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে ধান-চাল সংগ্রহের উপরে। সরকার নির্ধারণ করেছে চার লাখ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে, কিন্তু গুদামের জায়গার অভাবে এখন পর্যন্ত এক লাখ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করেছে কৃষকদের কাছ থেকে।