উপযুক্ত কর্মপরিবেশ ও যুব কর্মসংস্থান নিশ্চিতে উপাত্ত-বিপ্লবের বিকল্প নেই, জাতিসংঘে পরিকল্পনামন্ত্রী
মোহাম্মদ রকিব : জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলতি উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম (এইচএলপিএফ)-এর বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় ও ফলপ্রসূ অংশগ্রহণের পাশাপাশি বাংলাদেশ আজ যুব-সম্প্রদায়কে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে ‘সকলের জন্য উপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের জন্য উপাত্ত-বিপ্লব’ শীর্ষক এক সাইড ইভেন্টের আয়োজন করে। এতে সহ-আয়োজক ছিলো জাতিসংঘে নিযুক্ত ডেনমার্ক স্থায়ী মিশন, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াবলী বিভাগ জাতিসংঘের দক্ষিণ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি জাতিসংঘ মূলধন উন্নয়ন তহবিল ও আইএলও। সহ-আয়োজক হিসেবে বেসরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে ছিলো-অ্যাকশন এইড, রেস্টলেস ডেভলপমেন্ট ইউকে, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এবং সাউথ-সাউথ নেটওয়ার্ক ফর পাবলিক সার্ভিস ইননোভেশন। আরটিভি অনলাইন
সাইড ইভেন্টটির অন্যতম আলোচক ছিলেন বাংলাদেশের পরিকল্পনামন্ত্রী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এমপি। তিনি বাংলাদেশে উপাত্ত-বিপ্লবের উদাহরণ হিসেবে ‘এসডিজি ট্র্যাকার’ এর কথা উল্লেখ করেন। যুব সম্প্রদায়সহ সবার জন্য যথোপযুক্ত কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ৮.৫ ও ৮.৬ বাস্তবায়নে উপাত্তের ব্যবহার ও সন্নিবেশন কতটা ফলপ্রসূ ভূমিকা রেখেছে তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, উপাত্ত আপনাকে সমন্বয় করার সুবিধা দেবে; যা উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। যদি কিনা আপনি উপাত্ত বিনিময় করেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপাত্ত বিপ্লব হতে পারে অন্যতম একটি হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ সাইড ইভেন্টটিতে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন এবং এটি সঞ্চালনা করেন। সাইড ইভেন্টটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উপস্থাপন করে এসডিজির মুখ্য সমন্বয়কারী আলোচক ও অংশগ্রহণকারীদের আলোচনা, মতবিনিময় ও জিজ্ঞাসার জন্য বেশকিছু বিষয়ের অবতারণা করেন।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ২০ লাখেরও বেশি তরুণ জব মার্কেটে প্রবেশ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসমতা দূর, সমাজের সবাইকে একীভূত করে উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন, জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যথোপযুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টির উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছেন।
অনুষ্ঠানটিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রের কূটনীতিকবর্গ, জাতিসংঘের কর্মকর্তা, বিভিন্ন যুব প্রতিনিধিসহ বিপুল সংখ্যক বিদেশি অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র সচিবসহ উর্ধতন কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন।