রিফাত হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মিন্নি, জানালেন বরগুনার পুলিশ সুপার
জয়নাল আবেদীন ও সাগর আকন : গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ ও বুধবার মিন্নির রিমান্ড মঞ্জুরের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রয়েছে মিন্নি। ইতোমধ্যেই মিন্নি রিফাত হত্যাকা-ে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গেও মিন্নি যুক্ত ছিলেন। এ হত্যাকা- সংগঠিত হওয়ার আগে এর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যা যা করা দরকার, তার সবকিছুই তিনি করেছেন। হত্যাকারীদের সঙ্গে হত্যা পরিকল্পনার মিটিংও করেছেন। এছাড়া একাধিক আসামি আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে মিন্নির জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, হত্যাকা-টি কোনো মাদকের কারণে ঘটেনি। ঘটেছে ব্যক্তিগত জিঘাংসার কারণে। মাদক বা অন্য কোনো ইস্যুর কথা উঠলে মামলাটির ফোকাস ভিন্ন খাতে প্রবাহিত হতে পারে। এ মামলায় বাদী যাদের হত্যাকারী দাবি করেছেন, আমরা তাদের প্রায় সবাইকেই ধরেছি এবং কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। এ পর্যন্ত আমরা এজাহারনামীয় আটজনকে গ্রেপ্তার করেছি। সর্বমোট ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অতএব, এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। সম্পাদনা : ইকবাল খান
পুলিশ কি কোনো রাজনৈতিক চাপের মধ্যে আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মারুফ হোসেন বলেন, পুলিশ কোনো চাপের মধ্যে নেই।
এ মামলায় নয়ন বন্ডদের যারা ছত্রছায়া দিয়েছে, তাদের কী হবে? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, যাদেরই এ হত্যাকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদেরই আইনের আওতায় আনা হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান