১ লিটার বক্স আইসক্রিমে থাকে ৬শ গ্রাম!
ইসমাঈল ইমু : বাজারে যেসব আইসক্রিম পাওয়া যায় এর মধ্যে বক্সের লেখা ওজনের সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই। বেশিরভাগ আইসক্রিম বক্সে লেখার চেয়ে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ আইসক্রিম কম পাওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তবে বিক্রেতারা দোষ চাপাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারি কোম্পানিকে।
শুক্রবার বেলা ১২টা। শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা ইশরাত ইফতি জাহান তার নিকটাত্মীয়র বাসায় বেড়াতে যাবার সময় ১ লিটারের একটি বক্স আইসক্রিম কেনেন। তিনি ওজন মাপার ডিজিটাল মিটারে আইসক্রিমের বক্সটি ওজন করলে সাড়ে ৬শ গ্রাম পান। পরে অপর একটি কোম্পানির বাক্সের ওজন ৫শ ৪০ গ্রাম পাওয়া যায়। সাধারণত ১ লিটারের পণ্য কেজিতে ৯শ গ্রাম হওয়ার কথা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানি ইব্রাহিম জানান, কোম্পানি আইসক্রিম বক্সগুলো দিয়ে যায়। তারা বক্সের গায়ে রেখা নির্ধারিত দামে বিক্রি করেন। ক্রেতারা কখনো ওজন করে কেনেন না। কোম্পানি ওজনে কম না বেশি দিলো তাও কখনো মেপে দেখা হয় না।
পান্থপথ এলাকার একটি দোকানে গিয়ে ১ লিটার ওজনের ইগলু কোম্পানির আইসক্রিম ডিজিটাল মিটারে ওজন দিয়ে দেখা যায় ৬০২ গ্রাম। ওই দোকানিও অবাক হন। তিনি বলেন, এভাবে কখনো চিন্তা করিনি। এক লিটারে সাধারণত ৯শ গ্রাম হওয়ার কথা।
এদিকে ইগলু আইসক্রিমের ব্র্যান্ড ম্যানেজার সুমিত চক্রবর্তী জানান, ১ লিটার আইসক্রিমের এই ওজনটা বিশ্বমানের। বিএসটিআইয়ের নিয়মানুযায়ী ১ লিটার আইসক্রিমের ওজন সাধারণত ৫৫০ গ্রাম, ৬১০, ৬১৫ ও ৬২৫ গ্রাম হয়ে থাকে। বিভিন্ন ফ্রুটস, জুসসহ নানা ব্র্যান্ডের কারণে ওজন কমবেশি হয়। তবে ১ লিটার সমান ৯শ গ্রাম তিনি মানতে নারাজ।
এদিকে বিএসটিআই’র উপপরিচালক (সিএম) রেজাউল হক বলেন, আইসক্রিমে যদি ওজন ১ লিটার লেখা থাকে তবে কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। যদি ভলিউম লেখা থাকে তাহলে ঠিক আছে। বেশ কিছুদিন আগে এ ধরনের একটি অভিযোগ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে জমা পড়েছিলো। সেখানে দেখা গেছে, আইসক্রিমের পরিমাণে ভলিউম উল্লেখ করা ছিলো। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান