প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক ঋণ ২৪৬ ট্রিলিয়ন কোটি ডলারে উন্নীত
নূর মাজিদ : চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ ৩ লাখ কোটি ডলারের বেশি বেড়ে ২৪৬ ট্রিলিয়ন কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই ঋণ সরকারি এবং বেসরকারি খাতের মোট ঋণের পরিস্থিতি নির্দেশ করছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স (আইআইএফ) এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্র : আনাদলু এজেন্সি।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, আর্থিক ঋণগ্রহণের পরিস্থিতি যথেষ্ট শিথিল থাকায় ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে ঋণগ্রহীতারা এক বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে ঋণ নিয়েছেন। ফলে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ বিশ্বের মোট জিডিপির ৩২০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। তবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের ঋণের পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ লাখ কোটি ডলার কম। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে বৈশ্বিক ঋণের পরিমাণ সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৪৮ লাখ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। আইআইএফের প্রতিবেদন অনুসারে, মার্চের শেষে ম্যাচিউর বাজারে মোট ঋণের পরিমাণ ১ দশমিক ৬ লাখ কোটি ডলার বেড়ে প্রায় ১৭ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এদিকে সরকারি ঋণ বাড়ায় প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন ঋণ নতুন সর্বোচ্চ ৬৯ লাখ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
এছাড়াও, উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর বাজারে দেনা পরিস্থিতি প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের সমান বা ৬৯ লাখ কোটি ডলারের কাছাকাছি যা ২১৬ শতাংশ বেড়েছে। এর মাঝে সবচাইতে বেশি ঋণ রয়েছে চীনের। দেশটির সরকারি-বেসরকারি খাতের মোট ঋণ বিশ্বের মোট দেনার ১৫ শতাংশ।
চীনের সরকার ও আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেয়ার কারণে ছায়া ব্যাংকিং বা এসএমই খাত থেকে ঋণ গ্রহণের প্রবণতা ও এর পরিমাণ বাড়ে। যার কারণে প্রচলিত বানিজ্যিক ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের প্রদেয় ঋণের পরিমাণ কমেছে। চীনের অপ্রচলিত বা এসএমই উৎস থেকে নেয়া ঋণসহ মোট ঋণের পরিমাণ এখন ৪০ লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান