চাঁদে মানুষের পদার্পনের ৫০ বছর পালিত
আসিফুজ্জামান পৃথিল : বিশ^জুড়ে শনিবার চাঁদে পদার্পনের ৫০তম বার্ষিকী বর্ণাঢ্যভাবে পালিত হয়েছে। ১৯৬৯ সালেল ২০ জুলাই, অ্যাপোলো ১১ এর ইগল মডিউল চাঁদের ‘নিস্তব্ধতার সাগরে’ অবতরণ করে। এর ঘন্টাখানেক পর নীল আর্মস্ট্রং প্রথম মানুষ হিসেবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করেন। বিবিসি, সিএনএন।
অনলাইনে চাঁদে পদার্পনের ভিডিও স্ট্রিম করে চন্দ্র অভিযানের বার্ষিকী পালন করে নাসা। ৫০ বছর আগে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ এই ঘটনাটি সরাসরি টিভিতে দেখেছিলে। নাসা বলছে, তারা নতুন প্রজন্মকে এই ঐতিহাসিক ঘটনা পর্যবেক্ষণের সুযোগ দিতে চেয়েছে। ইগল চাঁদের বুকে অবতরণের পর নীল আর্মস্ট্রং রেডিওতে বলেছিলেন, ‘হিউস্টন, নিস্তব্ধতার সাগর থেকে বলছি। আমরা চাঁদে অবতরণ করেছি।’ এর জবাবে হিউস্টনের মিশন ক্যাপসুল কমিউনিকেটর চার্লি ডিউক বলেন, ‘রজার, নিস্তব্ধতার সাগর। আমরা জানলাম আপনারা মাটিতে অবতরণ করেছেন। আপনি এখানে এলে একগাদা মানুষ পাবেন যাদের শরীর নীল হয়ে গেছে। তবে এখন আমরা আবার শ^াস নিচ্ছি।’ এর ঘন্টাখানেক পর চাঁদে পা রাখেন আর্মস্ট্রং। চার্লি তখন যে কথাটি বলেছিলেন তা জন্ম দিয়েছে এক বিখ্যাত প্রবাদের। চার্লি বলেছিলেন, ‘এটি হতে পারে একজন মানুষের ছোট্ট পদক্ষেপ। কিন্তু এটি মানবজাতির জন্য এক দানবীয় পদাঙ্ক।
আর্মস্ট্রং আর্মস্ট্রং এর সঙ্গে এই অভিযানে গিয়েছিলেন বাজ অলড্রিন ও মাইকেল কলিন্স। তবে কলিন্স চাঁদের মাটি স্পর্শ করেননি। ৩ জনই ১৯৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। আর্মস্ট্রং ২০১২ সালে মারা যান। তবে অলড্রিন ও কলিন্স এখনও বেঁচে আছেন। শনিবার টুইটারে অলড্রিন লিখেছেন, আজ যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশে^র জন্য উদাহরণ তৈরী করেছিলো। আমরাই সেখানে প্রথম ছিলাম। এটা সত্যি এই অভিযান ছিলো সকল মার্কিনির। আমরা ছিলাম শুধু তাঁদের প্রতিনিধি। সম্পাদনা : ইকবাল, লিমা।