দুবাইয়ে সফল নারী উদ্যোক্তা বাংলাদেশি গুলশান আরা
আরিফা রাখি : নারী উদ্যোক্তা গুলশান আরা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ ও প্রবাসীদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। আইদিন বুটিকস গ্রুপ অফ কোম্পানি নামে ২০১৩ সালে ব্যবসা শুরু করেন। দুবাইতে তার প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংখ্যা ৫০। এছাড়া ঢাকায় ফার্স্ট অ্যাপারাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে ১০০ কর্মী। ইউটিউবে পাওয়া এক তথ্য চিত্রে তার কাজ সম্পর্কে জানা যায়।
এই সফল নারী উদ্যোক্তার সাথে টেলিফোনে কথা হলে তিনি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তার সফলতার কথা তুলে ধরেন। বাবা মায়ের সান্নিধ্য থেকে মুক্তির জন্য ২০০২ সালে সেনাবাহিনীতে অংশগ্রহণ করেন তিনি। সেনাবাহিনীতে ৫ বছর কাজ করার পর ২০০৭ সালে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর ২০০৭-০৮ সাল পর্যন্ত মাস্টার মাইন্ড স্কুলে ‘ও’ লেভেলের গণিত ও বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করেন তিনি। এরপর গ্রুপ ফোর সিকিউরিটি সার্ভিসেস-এর ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১০ সালের শেষের দিকে ওই কোম্পানির রিজিওনাল এইচ আর ম্যানেজার হিসেবে প্রমোশন পেয়ে ১৮টি দেশের দায়িত্ব নিয়ে আরব আমিরাতে যান।
ছোটকাল থেকেই নিজেকে একজন নারী হিসেবে নয় বরং একজন মানুষ হিসেবে ভাবতেন তিনি। ফ্যাশন ডিজাইনের প্রতি প্রচুর আগ্রহ থাকায় এবং আমিরাতে এর বেশ চাহিদার বিবেচনায় নিপুণ কর্মশৈলী নামি-দামি তৈরি পোশাক, ব্যাগসহ ফ্যাশন সংশ্লিষ্ট নানা রকম পণ্যের ব্যবসায় এগিয়ে আসেন। চাকরির পাশাপাশি পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজ প্রচেষ্টায় ব্যবসার চ্যালেঞ্জকে সফল করতে থাকেন। পরবর্তিতে এ ব্যবসাকে প্রসারের জন্যে ২০১৩ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসায় নিজেকে পুরোপুরিভাবে নিয়োজিত করেন।
বর্তমানে তার আইদিন বুটিকস্ প্রতিষ্ঠানের আধুনিক ডিজাইনের রুচিশীল বিভিন্ন রকম পণ্য আমিরাতে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে আমিরাতের নামকরা প্রতিষ্ঠান কেরিফোর, ইউনিয়ন কো-অপারেটিভ, আবুধাবী কো-অপারেটিভ ও হাইপার পান্ডাসহ নামি-দামি বিভিন্ন মার্কেটে তার প্রতিষ্ঠানের পণ্য ব্যাপকভাবে সরবরাহ করা হয় বলেও জানান। বাংলাদেশ এবং প্রবাসীদের আরো ব্যাপক সম্মান বৃদ্ধি করায় প্রবাসীরাও তাকে দেখছেন বাংলাদেশের একজন নারী হিসেবে। লেফটেন্যান্ট (অব.) গুলশান আরা ব্যবসার পাশাপাশি একজন সফল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠকও।