১শ কোটি টাকার বেশি ঋণখেলাপিদের তদারকিতে বিশেষ সেল গঠন করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
রমজান আলী : ১০০ কোটি টাকার ওপরে ঋণ রয়েছে এমন ঋণগ্রহীতাদের বিশেষ নজরদারির মধ্যে রেখে ঋণ আদায় ত্বরান্বিত করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। তা সেই ঋণখেলাপি অবস্থায় থাকুক আর নিয়মিতই থাকুক। ১০০ কোটি টাকা বা তার বেশি খেলাপি ঋণ আছে এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নিবিড় তদারকির মধ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে সব ব্যাংকে বিশেষ তদারকি সেল গঠন করতে বলা হয়েছে। শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ ও খেলাপি ঋণগ্রহীতার সংখ্যা কমিয়ে আনতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ব্যাংকখাতের এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।
গতকাল সোমবার এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, নানা উদ্যোগ নিয়েও খেলাপি ঋণের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না। এর মূল কারণ বড় ঋণ খেলাপিরা বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করে ফাঁকফোকর দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই এদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর হচ্ছে আর্থিক খাতের এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এতে তাদের অবস্থা সহজে পর্যবেক্ষণ করা যাবে। ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, শ্রেণিকৃত ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে তফসিলি ব্যাংকসমূহের অপরাপর সব শ্রেণিকৃত ঋণসহ ১০০ কোটি টাকা এবং তদূর্ধ্ব স্থিতিবিশিষ্ট শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাবসমূহ নিবিড় তদারকি একান্ত আবশ্যক। শ্রেণিকৃত ঋণ হিসাব তদারকির নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।
এ বিবরণীতে প্রদর্শিত শ্রেণিকৃত ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ কিংবা অন্য কোনো কারণে নিয়মিত বলে গণ্য হলেও নিয়মিত হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী ৮টি ত্রৈমাসিক পর্যন্ত তা বিবরণীতে রাখতে হবে।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ওই বিবরণীর যথাযথ পর্যালোচনা নিশ্চিত করবে। এ ক্ষেত্রে ঋণের বকেয়া আদায়ের নিমিত্তে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একটি সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে। পরিচালনা পর্ষদ নিয়মিতভাবে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পর্যালোচনাপূর্বক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
আগামী অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে এপ্রিল-জুন, ২০২০ ত্রৈমাসিক পর্যন্ত ওই বিবরণীর হার্ড ও সফট (এক্সএল সিট) কপি দাখিল করতে হবে। আগামী এপ্রিল-জুন, ২০২০ ত্রৈমাসিক থেকে আলোচ্য বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দাখিল করতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব