ইমেজ তৈরির জন্য পণ্যের মান বাড়াতে হবে, বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
জিয়ারুল হক : কাজের মাধ্যমেই ইমেজ তৈরি করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে ক্ষয়ে যাওয়া ইমেজ তৈরিতে পণ্যের মান বাড়াতে হবে।’ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এসব কথা বলেন তিনি। বাংলা ট্রিবিউন
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সেভেন সিস্টার নামে পরিচিত রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। আমাদের তৈরি পোশাক খাত ভালো করছে। এই ভালো অবশ্যই ধরে রাখতে হবে। পাশাপাশি রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের মাধমে তালিকা বাড়াতে হবে। এজন্য যা করা দরকার, তাই করতে হবে।’
রপ্তানি পণ্যের বাস্কেট বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চামড়া শিল্পনগরী হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরের ফলে সম্প্রতি চামড়া খাত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। যদিও এটিকে ভালো করার চেষ্টা করছি। সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার নিয়ে যে সমস্যা, তা ঠিক করা হচ্ছে। তবে চামড়া শিল্পে ভালো ভালো পণ্য উৎপাদন হচ্ছে।’ বাংলাদেশে তৈরি চামড়ার জুতা, ব্যাগ খুবই জনপ্রিয় হয়েছে বিশ্বের অনেক দেশের ক্রেতাদের কাছে। তাই এই পণ্যটির জন্য আমরা নতুন বাজার খুঁজছি।’
বিশ্বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করা হয়েছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘এসব পণ্যের মধ্যে কোনটি কোন দেশের বাজারে ভালো বিক্রি হবে, তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।’ এছাড়া আমাদের ওষুধ বিভিন্ন দেশে বাজার সৃষ্টি করতে পেরেছে। সেসব দেশে ৪/৫ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ওষুধ।’
বাংলাদেশের সিরামিকও ভালো করছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফাইভ স্টার হোটেলের জন্য তাদের পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইনের সিরামিক সামগ্রি রপ্তানি করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘রপ্তানি বাড়াতে অবশ্যই তৈরি পোশাক খাতকে দেয়া প্রণোদনা বা সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি রফতানি বাড়াতে অন্য পণ্যকেও উৎসাহিত করা হবে। এজন্য তৈরি পোশাক খাতে দেয়া সুবিধা অন্য খাতগুলোকে দেয়া হবে। মোট কথা রপ্তানি পণ্যের বাস্কেটটি বাড়াতে হবে।’ আমরা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ২৫ কোটি মানুষের বাজারটি ধরতে চাই। ওই বাজারে আমরা প্রবেশ করতে চাই। পাশাপাশি রাশিয়ায়ও বাংলাদেশি পণ্যের বাজার যাচাই করতে চাই। সেখানে বাংলাদেশি কোন কোন পণ্যের চাহিদা রয়েছে, তা খুঁজে বের করছি। এজন্য আমরাও বিভিন্ন দেশে যাচ্ছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আশা করছি, এবারও রপ্তানিতে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।’ রপ্তানি টার্গেট অর্জন সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। সম্পাদনা : ফাতেমা