রেনু হত্যায় হৃদয় রিমান্ডে
মামুন আহম্মেদ খান ও মাসুদ আলম : রাজধানীর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের গেটে ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনু নামের এক নারীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানি শেষে বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাক আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে বাড্ডা থানার জেনারেল রেকর্ডিং অফিসার (জিআরও) পুলিশের এসআই লিয়াকত আলী বলেন, ভিকটিম রেনুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দেশবাসী এ ঘটনায় শঙ্কিত। এ আসামি হত্যার মাস্টার মাইন্ড। অন্যান্য আসামিদের সনাক্ত, মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। আমি তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
এসময় বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন, এই যে সেই হৃদয়। তখন তদন্ত কর্মকর্তা বিচারককে একটি ছবি দেখিয়ে বলেন, এই সেই হৃদয়।
হৃদয়ের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিলেন না। তখন বিচারক তার কাছে জানতে চান, কেন মারতে গিয়েছেন?
তখন হৃদয় বলেন, এক মহিলা বলে তিনি গলাকাটা। ওই মহিলার ছবিও আছে। ওই মহিলাকে স্কুলের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে মারা হয়। এরপর নিচে এনে তাকে অনেকে মারে। এরপর আমি মারি। ওই মহিলার কথায় তাকে আমি মেরেছি। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এরপর হৃদয় আদালতকে বলেন, স্যার আমার মা-বাবা নেই। আমাকে মাফ করে দেন। পরে তাকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে বুধবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় নারায়ণগঞ্জের ভূলতা এলাকায় অভিযান চালিয়ে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে ডিবি পূর্ব বিভাগ।
তিনি বলেন, হৃদয় যাদের নাম বলেছে তদন্ত ও গ্রেপ্তারের স্বার্থে আমরা তাদের নাম-পরিচয় এখনই প্রকাশ করছি না। যে নারী অভিভাবক রেণুকে ছেলেধরা বলে সম্বোধন করেছিলেন, তার বিষয়েও আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। সম্পাদনা : ইকবাল খান ও আবদুল অদুদ