মাসুদ আলম : রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরী পাড়ায় দেলোয়ার হোসেন (২৫) নামে এক গার্মেন্ট শ্রমিককে পোশাক চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ইজি ফ্যাশন নামের ওই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে রামপুরা-মালিবাগ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ইজি ফ্যাশনে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটি ভাঙচুর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকটি যানবাহনও ভাঙচুর করে
শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ ও তেজগাঁও জোনের এক এসি এবং পোশাক শ্রমিকসহ ২০ জন আহত হয়। পরে বিকেল পৌনে ৫টায় শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেলে যানচলাচল শুরু হয়। অবরোধে কারণে ওই এলাকায় যানচলাচল বন্ধ থাকায় আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দেলোয়ার ইজি ফ্যাশন নামে কারখানার কাটিং সহকারী ছিলেন। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ।
হাতিরঝিল থানার এসআই অনাথ মিত্র বলেন, বুধবার কারখানা ছুটি হওয়ার পরও দেলোয়ার বের না হয়ে লুকিয়ে ছিলেন। ভোরে তিনি ৬তলা থেকে কিছু গেঞ্জি জানালা দিয়ে বাইরে ফেললে বাইরে থেকে একজন তা দেখে নিরাপত্তাকর্মীদের খবর দেন। পরে দারোয়ান কারখানার ম্যানেজারকে খবর দেয়। তিন-চার জন সিকিউরিটি গার্ডকে নিয়ে অফিস সহকারী ইয়াসিন ৬তলায় গিয়ে লুকিয়ে থাকা দেলোয়ারকে খুঁজে বের করে। দেলোয়ারকে ধরার পর বেদম পিটুনি দেওয়া হয়। পরে রাতে তাকে গার্মেন্টসের ভেতরেই আটকে রাখা হয়। এসময় ওই গার্মেন্টের নিরাপত্তাকর্মী মইন আলীকেও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেলোয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই পোশাক কারখানার তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া ওই নিরাপত্তাকর্মীও পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। হত্যাকা-ে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কবির নামে এক পোশাক শ্রমিক বলেন, দেলোয়ার হত্যায় জড়িতদের যদি গ্রেফতার করা না হয় আজও তারা রাস্তায় নামবে। তাকে পরিকল্পীতভাবে হত্যা করা হয়েছে।