উপকূলীয় জেলেদের মুখে রূপালি হাসির ঝিলিক
জিয়ারুল হক : টানা ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধের পর বুধবার জেলের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে বঙ্গোপসাগর। দুই মাসের বেশি সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেহাল অবস্থা পড়ে যায় জেলেরা। বিডিলাইভ২৪
দীর্ঘ দিন পর বঙ্গোপসাগরে জেলেরা জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ। সাগরে ৩ দিনের জন্য মাছ শিকারে গেলেও একদিনেই ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ফিরছেন জেলেরা। এতে দারুণ খুশি জেলে, ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এবার সাগরে যেভাবে মাছ ধরা পড়ছে তাতে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক।
কক্সবাজার উপকূলের জেলেরা সরকার ঘোষিত ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত বুধবার থেকে সাগরে ট্রলার নিয়ে মাছ শিকারে যাওয়া শুরু করেছেন। জেলেরা ছোট, মাঝারি ও বড় ট্রলারগুলো নিয়ে ৩ থেকে ১০ দিনের জন্য সাগরে মাছ শিকারে গেলেও কোন কোন ট্রলার একদিনেই ট্রলার ভর্তি মাছ নিয়ে ফিরছে কক্সবাজার উপকূলে। নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে জাল ফেলতেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় দারুণ খুশি জেলে ও ট্রলার মালিকরা।
জানা গেছে, জেলায় মাছ ধরার ট্রলার আছে ৫ হাজারেরও বেশি। ট্রলারের জেলে-শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ। ইতোমধ্যে রুপালি ইলিশ সহ নানা প্রজাতির মাছের সন্ধানে সাগরে নেমেছে অন্তত তিন হাজার ট্রলার। দুএক দিনের মধ্যে নামবে আরও দুই হাজার ট্রলার।
কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে গত ৬৫ দিন মাছ ক্রয়-বিক্রয় না থাকায় মৎস্য ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলে শূন্য ছিল এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি। বর্তমানে সাগর থেকে জেলেদের শিকার করে আনা ইলিশে সয়লাব মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। আর মাছ ওঠা-নামা ও বেচা-কেনায় ব্যস্ত মৎস্য শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ‘নিষেধাজ্ঞার পর শুরুতেই উপকূলের কাছে যেভাবে মাছ ধরা পড়ছে তাতে সামনে আরও বেশি মাছ ধরা পড়বে এবং সরকারের রাজস্ব আয় দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।’ এমনটাই মনে করেন তিনি।
জেলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩৯৩ জন এবং যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক নৌযানের সংখ্যা ৫ হাজার ২৪০টি। গত বছর সামুদ্রিক উৎস থেকে মৎস্য আহরণের পরিমাণ ১ লাখ ৫০ হাজার ২শ মেট্রিক টন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান