বিশ্বে সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে মাদক ব্যবসার চেয়েও বেশি অর্থ আদায় করছে হ্যাকাররা
নূর মাজিদ : ২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে হ্যাকাররা বিশ্বব্যাপী র্যানসামওয়্যারের আক্রমণ আশংকাজনকহারে বাড়িয়েছে। যার কারণে সবচাইতে ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাজ্যে। তবে পিছিয়ে নেই বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলও। গত বুধবার সাইবার নিরাপত্তা ফার্ম সনিকওয়াল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। সূত্র : ক¤িপউটার উইকলি।
সনিকওয়াল প্রতিবেদন সূত্রে প্রকাশ, গত বছরের শেষ নাগাদ ম্যালওয়্যারের আক্রমণ অনেকাংশে কমে আসে। যার বিপরীতে র্যানসামওয়্যারের আক্রমণ বাড়িয়ে চলতি বছর হ্যাকাররা ছোটবড় বাণিজ্যিক ওয়েবসাইটগুলোকে জিম্মি করে অর্থাদায়ের পরিমাণ বাড়িয়েছে। এই প্রক্রিয়াকেই সাইবার এক্সটোরশন বলা হচ্ছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে যুক্তরাজ্যে যার পরিমাণ ১৯৫ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্বের ২শ’টি দেশের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার দেয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির পরিচালক রব জোন্স বলেন, সাইবার এক্সটোরশন এখন হ্যাকারদের মাঝে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সাইবার ক্রাইমে পরিণত হয়েছে। ২০১৯ সালের প্রথমার্ধে বিশ্বব্যাপী ১১ কোটি ৯ লাখ বড় আকারের র্যানসমওয়্যারের আক্রমণের ঘটনা নথিবদ্ধ করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরের মধ্যে যার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। তবে ভারত, জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্রে এই ধরনের আক্রমণের সংখ্যা কমেছে যথাক্রমে ৬২, ৭১ এবং ২১ শতাংশ।
তবে কিছু দেশে ম্যালওয়্যারের আক্রমণ বেড়েছে। এর মাঝে ভারতে (২৫%), সুইজারল্যান্ডে (৭২%) এবং নেদারল্যান্ডে (৩%) বেড়েছে।
এদিকে বিবিসির এক বিশেষ প্রতিবেদনের বরাতে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ স¤পাদক নাইমুল ইসলাম খান জানান, ব্রিটিশ গবেষকরা বলছেন বিশ্বব্যাপী র্যানসামওয়্যারের মাধ্যমে আদায় করা অর্থের পরিমাণ বৈশ্বিক মাদক ব্যবসার বার্ষিক পরিধি ছাড়িয়েছে। উলে¬খ্য, ২০০৩ সালে বিশ্বে মাদকের অবৈধ বাজার ছিলো ৩২ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দমন সংস্থা ইউনোডকের মতে, শুধু ২০১৮ সালেই বৈশ্বিক কোকেনের বাজার ছিলো ৮ হাজার ৮শ কোটি ডলারের। সম্পাদনা : আসিফুজ্জামান পৃথিল