ড. জাহিদ হোসেন বললেন, ঘুষের সমস্যা সমাধানে কর গ্রহণের পুরো অ্যাসেসমেন্টটা অনলাইনে নিয়ে আসতে হবে
আমিরুল ইসলাম : নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন উপলক্ষে করদাতাদের সন্তুষ্টির মাত্রা জানতে একটি জরিপ করছে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প। এতে দেখা যায় ভ্যাট রিটার্ন দেয়ার ক্ষেত্রে এলটিউর ২২ শতাংশ করদাতা ঘুষ দিয়ে কাজ করিয়েছেন। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন এবং সমস্যাটি সমাধানের জন্য কি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন জানতে চাইলে বিশ^ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেছেন, কর গ্রহণের পুরো অ্যাসেসমেন্টটা অনলাইনে নিয়ে আসলে ঘুষের সমস্যার সমাধান হবে।
তিনি বলেন, কর প্রদানে ঘুষের সমস্যার সমাধান হবে কিনা সেটা নির্ভর করছে অনলাইনে কোন কোন সার্ভিসগুলো নিয়ে আসতে পারছি। এখন তো শুধু রেজিস্ট্রেশনটা অনলাইনে করা হয় ভ্যাটের ক্ষেত্রে। ফাইলিংটা বড় করদাতাদের জন্য ঢাকায় করা হয়েছে। ঘুষ দেয়া হয় অ্যাসেসমেন্টের জায়গায় এবং পেমেন্টের জায়গায়। সেগুলো অনলাইনে না করা পর্যন্ত ঘুষ দাবি করার যে সুযোগটা রয়েছে সেটা বন্ধ হবে না। রেজিস্ট্রেশন আর ফাইলিংটা অনলাইন প্রক্রিয়ায় হলেই ঘুষ দেয়া ও নেয়ার সুযোগ চলে যাবে, এমনটা নয়। পুরো অ্যাসেসমেন্টটা যদি অনলাইনে নিয়ে আসা যায় এবং অফিসিয়ালদের সঙ্গে করদাতাদের যোগাযোগ করা না লাগলে কর সংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পাদন করতে গিয়ে তাহলে ঘুষের বিষয়টা বন্ধ হওয়ার একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। যেসব জায়গায় ঘুষ দেয়ার সুযোগ সবচেয়ে বেশি, কর কতো দিতে হবে এটা নির্ধারণ করতে গিয়েই তো ঘুষের বিষয়টা চলে আসে। তারপর পে করতে গিয়ে আসে। তারপর রিফান্ড করতে গিয়ে। এসব জায়গায় ঘুষ আদান-প্রদানের সুযোগ সবচেয়ে বেশি। এগুলো অনলাইনে না আসলে এবং এনবিআর অফিসিয়ালদের সঙ্গে যদি যোগাযোগ করতে হয়। করদাতা ও গ্রহণকারীর মধ্যে ব্যক্তিক পর্যায়ে যোগাযোগের প্রয়োজন ফুরিয়ে না গেলে ঘুষের সুযোগটা থেকেই যাবে। ব্যক্তি টু ব্যক্তি যোগাযোগটা যতোটা কমানো যায় ততোটাই ঘুষ দেয়ার বিষয়টা সংকুচিত হবে।