৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করলে সঞ্চয়পত্রের মুনাফায় ৫ শতাংশ উৎসকর কাটা হবে, জানালেন অর্থমন্ত্রী
স্বপ্না চক্রবর্তী : সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার উপর ৫ শতাংশ উৎসে কর কাটা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা। তিনি বলেছেন, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকেই এই হার কার্যকর হয়েছে। এখন থেকে রেমিটেন্স পাঠালেও প্রণোদনা দেয়া হবে।
সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী জানান, শিগগিরই এ ব্যাপারে এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করবে। এর আগে বাজেট ঘোষণার সময় মন্ত্রী সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর ১০ শতাংশ কাটা হবে বলে জানিয়েছিলেন। পরে এনবিআরের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পেনশনার সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর ৫ শতাংশ হবে।
সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এ সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করলেন অর্থমন্ত্রী।
এসময় মুস্তফা কামাল বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার ব্যাপারে সরকার এখনো প্রস্তুতি শেষ করতে পারেনি। তবে ১ জুলাই থেকে প্রবাসীরা যারা টাকা পাঠাচ্ছেন, তাদের ২ শতাংশ হারে অর্থ সহায়তা দিয়ে দেয়া হবে।
এসময় মন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) বাজেটে রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অথচ নীতিমালা না হওয়ায় এখনও এটি কার্যকর করতে পারেনি সরকার। তবে ১ জুলাই থেকে যারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তাদের ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হবে।
তিনি বলেন, গত ৩০ জুন সংসদে বাজেট পাস হয়েছে। ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হয়েছে। তবে এগুলোকে ফাংশনালের জন্য কিছু সময় লাগে। লিগ্যাল ওয়েতে রেমিট্যান্স বাড়ানোর জন্য এ অর্থবছর থেকেই ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয়া হবে। এটা আমরা বাজেটে পাস করেছি। কিন্তু সিস্টেম এখনও ডেভেলপ করতে পারিনি। সিস্টেম আপডেট করতে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগবে। সামনে ঈদ। অনেকেই ধারণা করছেন এখন দেশে রেমিট্যান্স পাঠালে তারা প্রণোদনা পাবেন না, এটা কিন্তু ঠিক না। যেহেতু বাজেটে পাস হয়েছে সেহেতু এখন রেমিট্যান্স পাঠালেও দুই শতাংশ প্রণোদনা ছয় মাস পর হলেও পাবেন। এখন পাঠালেও পাবেন, পরে পাঠালেও পাবেন। অর্থাৎ ১ জুলাই থেকেই যারা রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন তারাই ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা পাবেন। এক্ষেত্রে সিস্টেমটা ডেভেলপমেন্ট করতে আমরা দ্রুত কাজ করে যাচ্ছি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। কেউ ১০০ টাকা রেমিট্যান্স পাঠালে ১০২ টাকা পাবেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ট্যাক্স বা সার্ভিস চার্জ কাটা হবে না। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান