শীঘ্রই ব্যবসায়ীদের জন্য হচ্ছে এক্সিট প্ল্যান, জানালেন অর্থমন্ত্রী
স্বপ্না চক্রবর্তী : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমরা ব্যবসায়ীদের জন্য একটা এক্সিট প্ল্যান তৈরি করেছি। তা যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে প্রত্যেক ব্যবসায়ী লাভবান হবে। খুব শীঘ্রই এটি বাস্তবায়ন হবে বলে আমরা আশা করছি। তিনি বলেন, এর ফলে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে থাকা ব্যবসায়ীরা অর্থ শোধ করে আবারো ব্যবসায় ফিরে আসবেন বলে আমরা মনে করি। একই সাথে তিনি জানান, শাহ আমানত বিমানবন্দরের উন্নয়নে ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। আধুনিকায়নের কাজটি বাস্তবায়ন করবে যৌথভাবে মীর আকতার এবং সিএএমসিই।
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। এ সময় মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, এরই মাঝে বিসমিল্লাহ গ্রুপ বলেছে তারা ব্যবসা করবে এবং টাকা-পয়সা শোধ করবে। আমি বিশ্বাস করি এক্সিট প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের ব্যবসায়ীদের আবার আমাদের মাঝে পাবো, তারা আবার আসবে, তারা টাকা-পয়সা শোধ দেবে। আমাদেরও কষ্ট বাড়াবে না। আমাদেরও তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে হবে না। আমার টার্গেট একটাই-টু ব্রিং ব্যাক অল দ্য বিজনেজ হাউজেস, অল দ্য বিজনেস পিপল, ইভেন হু হ্যাভ মাইগ্রেটেড দিস কান্ট্রি ফর অ্যা বেটার লিভিং ফর অ্যা বেটার কমফোর্ট, বেটার হোপ। অর্থমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামকে যেহেতু আমরা বলছি কমার্সিয়াল হাব বানাবো। সেহেতু কমার্সিয়াল হাব হিসেবে রূপান্তর করতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উন্নয়ন করা হচ্ছে। এর ফলে এ বিমানবন্দরে বড় বড় এয়ারক্রাফ্ট উঠানামা করতে পারবে।
জানা যায়, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জঅতিক বিমানবন্দর। ১৯৯৮-০১ সময়ে জাপানের অর্থায়নে এ বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করা হয়েছিলো। ওই সময়ে রানওয়ে সম্প্রসারণসহ বিটুমিনাস কংক্রিটের মাধ্যমে বিদ্যমান রানওয়ের শক্তিবৃদ্ধিকরণ কাজও সম্পাদন করা হয়েছিলো। তখন রানওয়ে পেভমেন্ট ক্লাসিফিকেশন নম্বর (পিসিএন) ছিলো ৬৬, যা ডিসি ১০-৩০ জাতীয় বিমান চলাচলের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছিলো। বর্তমানে এ বিমানবন্দরে বোয়িং ৭৭৭ জাতীয় সুপরিসর বিমান চলাচল করছে। এদিকে রানওয়ের বিটুমিনাস কংক্রিটের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল অনেক আগেই শেষ হয়েছে এবং পিসিএন অনেকাংশে কমেছে। কিন্তু বিমানবন্দরে যাত্রী, কার্গো ও বিমান চলাচলের সংখ্যা সাড়ে তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে। বিআরটিসি বুয়েটের সমীক্ষা অনুযায়ী, রানওয়ের বর্তমান পিসিএন ৪৬ কিন্তু বোয়িং ৭৭৭ জাতীয় বিমান চলাচলের পিসিএন দরকার ৯০। এ অবস্থায়, বোয়িং ৭৭৭ জাতীয় সুপরিসর বিমানের নিরাপদ অবতরণ ও উড্ডয়নের জন্য চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ে শক্তিশালী করতে জিওবি অর্থায়নে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ৫৪০ কোটি ৫২ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদ্যমান রানওয়ে ও টেক্সিওয়ের শক্তি বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ডিপিপি ২০১৮ সালের ৫ মার্চ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয় বলে জানা গেছে। বৈঠকে কমিটির সদস্য ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।