সবজির সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মসলার দাম
রমজান আলী : ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বেড়েছে সকল প্রকার মসলার দাম। এদিকে দেশের নানা স্থানে বন্যার কারণে সবজির দামও রয়েছে চড়া। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে- পেঁয়াজ, আদা, রসুন, চাল, ডাল, তেল, আটা, ময়দা, চিনি, লবণসহ অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর বাজার, মানিকনগর কাঁচাবাজার, খিলগাঁও বাজার, সেগুনবাগিচাসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারভেদে পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, গাজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি এবং শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে এ তিনটি পণ্য এমন দামে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আমদানিকৃত চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। আমদানিকৃত চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়।
বাজারে প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা, জয়ত্রী ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা, লবঙ্গ ৭০০ টাকা, গোল মরিচ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, জিরা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, দারুচিনি ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। আর কিছুটা নিম্নমানের দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
এদিকে, মাংসের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বেড়েছে দেশি ও কক মুরগির দাম। তবে ব্রয়লার মুরগি আগের সপ্তাহের মতো ১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি। পাকিস্তানি কক মুরগি প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিলো ১৮০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। সে হিসেবে দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। দেশি মুরগির দামও বেড়েছে। প্রতি পিস দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিলো ৩২০ থেকে ৪০০ টাকায়। সে হিসেবে প্রতিপিস দেশি মুরগির দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা।
বাজারভেদে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৫৭০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি।
বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় সব জায়গায় এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হতে দেখা গেছে সবধরনের মাছ। খুচরা বাজারে ইলিশের এক কেজি বেশি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা। জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে পাঙাশ মাছ। রুই মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, নলা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, টেংরা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বাইলা ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, আইড় ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা ও চিতল বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি।
আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল ও অন্যান্য মুদিপণ্য। বাজারে নাজির শাইল চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫২ টাকা, স্বর্ণা ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, বিআর-২৮ নম্বর ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব