বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দেড় হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
জান্নাতুল পান্না : সারাদেশে বন্যায় ১ হাজার ৫শ ৫৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তারমধ্যে ১১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৭৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও রয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর এসব তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, বন্যার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান জলের নিচে তলিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় স্কুল-কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়েছে। তবে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি থেকে মুক্ত ছিলো। এসব প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছে মানুষ। বিদ্যালয় ও কলেজ-মাদ্রাসার কক্ষগুলোতে আলাদা আলাদা করে বন্যার্ত পরিবার থাকছে। সব মিলিয়ে কয়েক লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
জানা যায়, সারাদেশে মোট তিনটি বিভাগে স্কুলগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে বেছে নিয়েছে বন্যাদুর্গতরা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে সিলেট বিভাগে। এছাড়া রংপুরে ৩৪টি এবং রাজশাহীতে ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। জেলাভিত্তিক মৌলভীবাজার জেলায় সবচেয়ে বেশি ৭৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গাইবান্ধা জেলায় ১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাসমান জীবনযাপন করছে বন্যা দূর্গতরা। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ছাড়াও প্রাথমিক পর্যায়ে কয়েক’শ স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে।
তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়, সারাদেশে ১২টি জেলায় শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৪ হাজার ৩৩১টি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভাগ কিংবা জেলা ভিত্তিক আলাদা করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা দেয়নি তারা।
মাউশির তালিকা অনুযায়ী, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ে ময়মনসিংহ বিভাগে ৫৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রংপুরে ৫২৯টি, সিলেটে ২৫২, রাজশাহীতে ১৩৫, চট্টগ্রামে ৩৬ এবং ঢাকা অঞ্চলে ৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পাদনা : আবদুল অদুদ