রাজধানীর পশুর হাটগুলো প্রস্তুত হচ্ছে
সুজিৎ নন্দী : ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রাজধানীর পশুর হাটে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। উঁচু-নিচু মাটি সমান করে কেনো কোনো স্থানে দেয়া হয়েছে বালু বা ইট। চারদিকে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হচ্ছে বাঁশের খুঁটি। সঙ্গে লম্বা করে বাঁশ বাঁধা হচ্ছে। আর ৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে গরুর হাট। দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা হবার কারণে খামারিরা ঢাকায় গরু নিয়ে আসা শুরু করেছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বেশি গরু এসেছে। তবে প্রতিবারের মতো এবারো গাবতলীর হাটের ইজারাদাররা জোর করে ব্যবসায়িদের গরু গাবতলীর হাটে রাখতে বাধ্য করছে। তবে বিক্রি জমজমাট হবে শেষ তিনদিন।
জানা গেছে, রাজধানীতে কোরবানির পশু বেচাকেনার জন্য এবার ২ সিটি করপোরেশন এলাকায় ২৪টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে গাবতলীর স্থায়ী পশুর হাটসহ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৪টি।
ভাটারা সাঈদ নগর হাট ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় শতাধিক গরু মজুদ করেছে। হাট প্রস্তুতির অংশ হিসেবে কোরবানির পশু রাখার জন্য খুঁটি দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। হাটের ইজারাদার ইকবাল হোসেন খন্দকার বলেন, বেপারিরা এসে কোথায় গরু রাখবেন খুঁটি বসিয়ে সেই স্থান আগেই রাখছে। যে যতো আগে আসবেন তিনি বাজারে সামনের দিকে বা ভালো জায়গা দখল নিবেন। তবে যতো গরুই আসুক কোন সমস্যা হবে না।
একাধিক ইজারাদার জানান, প্রান্তিক খামারিরা গরু মোটাতাজা করে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন হাটে। তবে গেল বছরের চেয়ে এবার দাম কিছুটা কম বলছেন তারা। গো-খাদ্যের চড়া দামের তুলনায় গরুর দাম না পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন অনেকে।
সূত্র জানায়, অন্যবারের মতো এবারও নিরাপত্তার জন্য হাটে হাটে তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প আর ওয়াচ টাওয়ার। এছাড়াও ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যাম্পও থাকবে হাটে। হাসিলের জন্যও বেশ কয়েকটি ঘর তৈরি করা করা হচ্ছে।
এদিকে নিয়ম অনুযায়ী আগামী ৭ আগস্ট থেকে রাজধানীর হাটগুলোতে পশু বেচাকেনা শুরু হবে, চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। আর হাট প্রস্তুত করতে ৫ ও ৬ আগস্ট ইজারাদারদের সময় দেয়া হলেও এরই মধ্যে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে হাট কর্তৃপক্ষ বলছেন স্বল্প পরিসরে তারা এসব প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যাতে মানুষের চলাচলে কোন সমস্যা না হয়।
অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে ইতিমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে, মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, জিগাতলা হাজারীবাগ মাঠসংলগ্ন মাঠ, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার সামসাবাদ মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শনির আখড়া ও ধনিয়া মাঠ, গোপীবাগ বালুর মাঠ ও কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের এলাকা, ৪১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় কাউয়ারটেক মাঠ, ধুপখোলা মাঠসংলগ্ন আশপাশের এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন মাঠ, কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানবাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধসংলগ্ন আশপাশের জায়াগা, রহমতগঞ্জ খেলার মাঠসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার এলাকা। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান