সুদের হার ৯ শতাংশ ধার্য করে শিগগিরই প্রজ্ঞাপন
রমজান আলী : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যবসা করতে গেলে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু ব্যাংক থেকে ঋণ ইচ্ছে করে দিচ্ছে না তাদেও কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।
গতকাল রাববার বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বেসরকারি খাতের ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যানদের সাথে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যাংক ব্যবসার অনুমোদন যারা দেয় তারা বাতিল করতে পারে। সুতরাং তার বাস্তবায়ন নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি ১৬টি ব্যাংক সুদেও হার সিঙ্গেল ডিজিট বাস্তবায়ন করেছে । বাকিরা কথা দিয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে নামিয়ে আনবে । গত ছয় মাসে আগে যেভাবে ব্যাংকের বিরুদ্ধে সমলোচনা করা হতো এখন সেটা আর নেই। স্বল্প সময়ের ভিতরে সব ধরণের সমস্যা সমাধান করা হবে।
তিনি জানান, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ব্যাংক খাতের সকল পরিস্থিতি ভালো হয়ে আসবে। তারল্য সংকট, খেলাপি ঋণ সহ ব্যাংক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যা অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে সংবাদ মাধ্যমে ঘোষণা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পূর্বের আইনে তাদের নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই, তবে তার মধ্যে থেকেও যতটুকু আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় আমরা তা নিচ্ছি। কিন্তু নতুন ভাবে যে আইন আসছে সেখানে সব কিছুর পরিষ্কার বিবরণ থাকবে। ক্ষতিগ্রস্ত কেউই হবে না বরং সবাই উপকৃত হবে ওই আইনের মাধ্যমে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে আমাদের অর্থনীতি বড় হয়ে যাওয়ায় ব্যাংকিং খাত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এখন সেই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কিছুটা সময় প্রয়োজন। আশা করি খুব শিগগিরই আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাতে পারবো। আমরা চাইলেই একটি ব্যাংক বন্ধ করে দিতে পারি না, কারণ এগুলো আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত টাকা। চাইলেই একটি ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ফারমার্স ব্যাংক যখন সংকটের মুখে পড়েছিল তখন আমরা তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছি। এই মুহূর্তে বেসিক ব্যাংক একটি দুর্দশাগ্রস্থ সময় পার করছে। আমরা তাদেরকেউ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে সবাই মিলেই এগিয়ে যেতে হবে। কোন প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিলেই সেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।