শিউলী আক্তার : বাংলাদেশের হয়ে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ২০০৬ সালে। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে কিপটে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেছিলেন ৩০ রান। অভিষেক ম্যাচে অলরাউন্ডিং পারফরমেন্স করে ক্রিকেট বিশ^কে নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন। যে বার্তার কয়েক বছর পরেই বিশে^র নাম্বার ওয়ান অলরাউন্ডার হন তিনি। বলছি বাংলাদেশ ক্রিকেটার প্রাণ সাকিব আল হাসানের কথা। যিনি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্যারিয়ারে গতকাল ১৩ বছর পার করেছেন।
১৩ বছরের ক্যারিয়ারে ২০৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৯৪ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৬৩২৩ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ১৩৪ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন ২০০৭ সালে কানাডার বিরুদ্ধে। ৯টি শতকসহ ৪৭টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
বিশ^সেরা এই অলরাউন্ডার বল হাতে নিয়েছেন ২৬০টি উইকেট। দুইবার ৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ২৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেয়া এখনো তার ক্যারিয়ার সেরা।
রেকর্ড গড়ার অপর নাম সাকিব এটা বললেও ভুল হবে না। সদ্য শেষ হওয়া বিশ^কাপে প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে টানা তিনবার শীর্ষে থেকে আসরে পা রেখেছিলেন। এই বিশ^কাপে রেকর্ডের ভান্ডার সমৃদ্ধ করেছেন সাকিব। অলরাউন্ডার হিসেবে ১০০০ রান এর পাশাপশি ৩০ উইকেটের মালিক তিনি। এছাড়া এক আসরে ৫০০ এর বেশি রান ও ১০ উইকেট শিকার করার দিক দিয়েও শীর্ষে তিনি।
বিশ^সেরা অলরাউন্ডার সামনের দিকে আরো এগিয়ে যেতে চান। শুধু যে নিজে পারফর্ম করে যেতে চান তা নয় অধিনায়ক হয়ে দেশকে বিশ^কাপ এনে দেয়ার আশাও ব্যক্ত করেছেন।