কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করলো পাকিস্তান
আসিফুজ্জামান পৃথিল : পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি-এনএসসি বুধবার এ সব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের হাই কমিশনারকে বহিস্কারের পাশাপাশি নয়াদিল্লি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে পাকিস্তানের হাই কমিশনারকে। ডন, এনডিটিভি, বিবিসি।
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বিষয়টি পর্যালোচনা করতেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বিষয়টি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একই বৈঠকে আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস কাশ্মীরিদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই বৈঠকের পর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ভারতের বর্বর, বর্ণবাদী, মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রকাশিত করতে সব কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’
বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীকে নজরদারি অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই বৈঠকে দেশটির শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন। টানা কয়েক ঘন্টার এই বৈঠকে অংশ নেন পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, মানবাধিকার, কাশ্মীর ও গিলগিট-বালটিস্তান বিষয়ক এবং আইনমন্ত্রী। আরো অংশ নেন ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফস কমিটির চেয়ারম্যান, চিফ অব আর্মি স্টাফস, ভাইস চিফ অব নেভাল স্টাফস, আইএসআই প্রধান, পররাষ্ট্র সচিব এবং অন্যান্য জেষ্ঠ্য কর্মকর্তারা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক সম্পর্ক শিথিল থেকে শিথিলতর করে ফেলবে। খুব সম্ভবত ভারতে আর কোনো হাইকমিশনার বা অ্যাম্বাসেডর রাখছে না পাকিস্তান। এর বদলে রাখা হবে দ্বিতীয় ধাপের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স। কূটনৈতিকভাবে ভারতকে ছোট করতেই এটি করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরাইশি বলেছেন, ‘আমাদের দূতরা আর নয়া দিল্লি থাকছেন না। আর আমাদের এখানে থাকা তাদের কাউন্টারপার্টদেরও ফেরত পাঠানো হবে।’ সম্পাদনা : ইকবাল খান