২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের পরেও অব্যাহত থাকবে বাণিজ্যযুদ্ধ
নূর মাজিদ : বিগত কয়েক দিনে ধারবাহিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। এই সংঘাত চলমান থাকার হুমকি এখন ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বা তার পরেও স্থায়ী হতে পারে। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ডম্যান স্যাক্স তাদের গ্রাহকদের সতর্ক করে এমন কথা বলেছে। খবর সিএনএন।
গোল্ডম্যানের গ্রাহক রিপোর্টে বলা হয়, ‘বাণিজ্যচুক্তি সম্ভাবনা এখন সুদূর পরাহত। কারণ ওয়াশিংটন এবং বেইজিং উভয়পক্ষই অনমনীয় অবস্থান গ্রহণ করেছে।’ ওয়ালস্ট্রিটভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সমঝোতার কোন লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি নির্বাচনের সময়ও ট্রা¤েপর আরোপিত শুল্ক কার্যকর অবস্থাতেই থাকবে।
এই অনুমান সঠিক হলে, ইতিমধ্যেই স্থবির হয়ে পড়া বিশ্ব অর্থনীতি এখন দীর্ঘমেয়াদি অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। কারণ বাণিজ্যশুল্ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে বড় প্রতিবন্ধক। সবচেয়ে বড় উদ্বেগ অবশ্য আর্থিক ব্যবসা খাতে। যেখানে এই সংঘাতের কারণে বিনিয়োগকারীদের মাঝে ভবিষ্যৎ নিবেশের সাফল্য নিয়ে আস্থাহীনতা আরো বাড়বে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যেও পূর্বানুমান করে সঠিক ও সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগ করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বিনিয়োগ ব্যাংকটির প্রধান অর্থনীতিবিদ গ্রাহক প্রতিবেদনে লেখেন, ‘ইতোপূর্বে আমরা অনুমান করেছিলাম ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্রা¤প বাণিজ্যচুক্তির দিকে ধাবিত হবেন। কিন্তু, এখন তিনি এমন পদক্ষেপকে সবচেয়ে লাভজনক পরিস্থিতি বলে গন্য করছেন না। (নির্বাচনের পূর্বে) তিনি যে আসলেই কোন সমঝোতা করবেন, এই বিষয়ে আমরা আর আগের মতো নিশ্চিত নই।’
অন্যভাবে বলা যায়, চীনের ওপর চাপ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে দেশটির সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যচুক্তি স¤পাদন এখন মার্কিন জনগণের কাছে তার পুনঃনির্বাচিত হওয়ার স্বপক্ষে সমর্থন তৈরি করবে। এমনটাই ভাবছেন ট্রা¤প।
বিনিয়োগ গবেষণা পরামর্শক ইয়েরদেনি রিসার্চের প্রেসিডেন্ট এড ইয়ারদানিও এই বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, ‘এখন বা নির্বাচনের আগে বাণিজ্যচুক্তি হবেনা এমন সম্ভাবনা এখন খুবই বেশি। ট্রা¤প মনে করছেন মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। এবং চীন যে পাল্টা ২৫ শতাংশ মার্কিন পন্য আমদানিতে শুল্কারোপ করবে তার ধাক্কা সামলে উঠতে সক্ষম।’ সম্পাদনা : ইকবাল খান