বৃষ্টির কারণে জমেনি রাজধানীর পশুর হাটগুলো
জিয়ারুল হক : কোরবানির ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনে ২৩টি অস্থায়ী পশুর হাট বসেছে। এই ২৩টির বাইরে রাজধানীর স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতেও এবার প্রচুর দেশীয় গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতা সমাগম এখনো তেমন নেই। এখনো জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট। অন্যদিকে সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে কোরবানির পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। জাগোনিউজ, বাংলানিউজ
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘আবহাওয়া খারাপের কারণে ক্রেতা সমাগম কম। এছাড়া বৃহস্পতিবার ছিল শেষ কর্মদিবস। আবহাওয়া ভালো হলে জমে ওঠবে পশু বেচাকেনা।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গরু, ছাগল, মহিষ নিয়ে ব্যবসায়ীরা হাটে এসেছেন। ক্রয়ের উদ্দেশে ক্রেতা না থাকলেও অনেককে দাম-দর করতে দেখা যায়। তবে বিক্রির আগ্রহ নিয়েই বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ ক্রেতা কম থাকলেও দু-একটি গরু বিক্রিও হচ্ছে।
গাবতলী পশুর হাটে ঢুকতেই কথা হয় কুষ্টিয়া মেহেরপুর এলাকা থেকে আসা মঞ্জুরুল ইসলাম খামারির রাখাল রিপনের বলেন, ‘তিনটা গরু এনেছি। নাম দেয়া হয়েছে কালো পাহাড়, লাল পাহাড় ও সাদা পাহাড়। তিনটির দাম হাঁকানো হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। লাল পাহাড় ৮ লাখ, কালো পাহাড় ১৫ লাখ ও সাদা পাহাড় ১২ লাখ টাকা। তবে এখনো বিক্রি করার মতো দাম-দর কোনো ক্রেতা করেননি।’
কুষ্টিয়া কুমারখালীর গরু ব্যবসায়ী রিস্তাক বলেন, ‘ তিনটি গরু নিয়ে এসেছি। এবার কোরবানি ও ১৫ আগস্ট পাশাপাশি। কোরবানিতে পশু তো বিক্রি হবেই। সাথে ১৫ আগস্ট অনেক গরু জবাই হয়। সে জন্য এবার বাজার (দাম) পাওয়ার আশা থাকছে। তবে বর্ডারের (ভারতীয়) গরু বড় ফ্যাক্টর। বর্ডারের গরু না এলে লাভের আশা বেশি থাকে।’
এদিকে আফতাবনগর গরুর হাটে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানুষ আসছে। তারা দেখছেন পছন্দ হলে কিনছেন কেউ কেউ। তবে বিক্রি আশানুরূপ নয়। ব্যবসায়িরা বলছেন বৃষ্টির কারণে বেচাকেনা নাই তবে এ হাটে বরাবরই ভালো বেচাকেনা হয়, তাদের দাবি এবারও ভালো বেচাকেনা হবে।
খারাপ আবহাওয়ার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। ঈদ ঘনিয়ে আশায় খুব শীঘ্রই হাটগুলোতে পশু কেনা বেচা জমে ওঠবে বলে ধারনা সংশ্লিষ্টদের। সম্পাদনা : শোভন দত্ত