রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস ভারতের
আবুল বাশার : বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে ফেরাতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। বুধবার নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম বৈঠকে এই আশ্বাস দেয়া হয় বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিডিনিউজ
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদেরকে নিরাপদে ও দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ‘২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক সহযোগিতা দিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।’ আলোচনার শুরুতেই আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। নিরাপত্তা এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনাসহ সকল বিষয়ে দুই দেশ এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে সন্তোষ প্রকাশ করা হয় সভায়। দুই মন্ত্রী বৈঠকে কার্যকর সীমান্ত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে কোনো সন্ত্রাসী, জঙ্গি বা বিদ্রোহী গোষ্ঠী যাতে ভারতসহ প্রতিবেশী দেশের ক্ষতি করতে না পারে, সে বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মাদক পাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধে দুই প্রতিবেশী দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ ও ভারতের পুলিশ বাহিনীর মধ্যেও সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয় উভয় পক্ষ। সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন ভারতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সোহাইল হোসেন খান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহম্মেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবুবকর সিদ্দীক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক নীলিমা আক্তার, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. তারেক।
ভারতের পক্ষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি, স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিব গৌভা ও সচিব (সীমান্ত ব্যবস্থাপনা) বি আর শর্মা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান