রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশাবাদী এফবিসিসিআই
ইয়াছির আরাফাত : চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করায় বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) একে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, বর্তমান বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি, বাণিজ্য সহায়কনীতি, রপ্তানিকারকদের সরবরাহ দক্ষতা ও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী শিল্প কারখানার নিরাপত্তা পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। একইসাথে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যবসায়ীরা পণ্য ও বাজার বহুমূখীকরণসহ সরকারের অন্যান্য কার্যক্রমে সহযোগিতা করবে বলে সংগঠনটি জানিয়েছে। চলতি অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ বেশি। বাসস
বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য উৎপাদন ব্যয় হ্রাস ও প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এজন্য ব্যবসায়ীরা রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ)-সহ অন্যান্য ব্যাংক সুদহার কমানো, বেসরকারিখাতে ঋণপ্রবাহ সহজ করা, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের নীতি সহায়তা, চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্যান্য বন্দরের সক্ষমতা ও সেবার মান বাড়ানোর আহ্বান জানান। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন মনে করে, বৈশ্বিক বাণিজ্য সহায়তার লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যে বাণিজ্য সহায়ক যে কার্যক্রম গ্রহন করেছে (ইজ অব ডুয়িং বিজনেস) তা আরো জোরদার করা প্রয়োজন। সংগঠনটির মতে এ বছর নুুন ১৩টি পণ্য রপ্তানির আয়ের বিপরীতে ‘নগদ সহায়তা’ দেয়ার সিদ্ধান্ত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক হবে।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের সার্বিক রপ্তানি (পণ্য ও সেবা) আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং শুধুমাত্র সেবাখাতের রপ্তানি আয় বেড়েছে ৪৬ দশমিক শুন্য ৬ শতাংশ যা আশাব্যঞ্জক। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে এবং সকল ধরনের নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করা হলে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব বলে এফবিসিসিআই আশা করছে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব