রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৮, সূচকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ
ফাতেমা আহমেদ : দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার(ডব্লিউটিও) রপ্তানি প্রবৃদ্ধির সূচকে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। গত এক দশকে এই প্রথম উপমহাদেশের কোনো দেশ তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আসতে সক্ষম হলো। দৈনিক অধিকার, কালের কণ্ঠ অনলাইন
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তালিকার প্রথম অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। তবে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশ চীন, ভারত, মেক্সিকো, আরব-আমিরাত, তুরস্ক, ব্রাজিল এই তালিকার পেছনের দিকে অবস্থান করছে।
ডব্লিউটিও এই পরিসংখ্যানটি গত সপ্তাহে প্রকাশ করেছে। সেখানে সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, তালিকার শীর্ষে থাকা ভিয়েতনামের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের ৯ দশমিক ৮, চীনের ৫ দশমিক ৭ এবং ভারতের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ডব্লিউটিও বলছে, রপ্তানি আয়ের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪২তম দেশ এবং আমদানিতে ৩০তম অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের মূল উৎস হচ্ছে তৈরি পোশাক, বৈশ্বিক বাজারে যার অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। ২০০০ সালে তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিলো ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যা এখন বেড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাকের তালিকায় চীনের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর এই খাতে বৈশ্বিক বাজারে উদীয়মান শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে ভিয়েতনাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলেকট্রিক্যাল পণ্যকে ভিত্তি করেই ভিয়েতনামের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে। ১০ বছর অর্থাৎ ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশটির রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩০ গুণ। আর বাংলাদেশের রপ্তানি আয় তৈরি পোশাক খাত নির্ভর। প্রসঙ্গত, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করে। সেখানেও সিংহভাগ রপ্তানি আয়ের জন্য তৈরি পোশাক খাতকে বেছে নেয়া হয়েছে।