হংকং বিমানবন্দরে বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান
সাইফুর রহমান : প্রশাসনের অনুমতি না পেলেও পূর্বঘোষিত তিন দিনব্যাপী র্যালিতে অংশ নিতে হংকং বিমান বন্দরে জড়ো হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। কালো পোশাক পরে ব্যানার হাতে তারা আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। হংকংয়ে একটি প্রত্যর্পন বিল নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান আন্দোলন ধীরে ধীরে স্বাধীনতার দাবিকে তরান্বিত করছে। বিবিসি
চীনের এই অংশটি সাবেক ব্রিটিশ কলোনি হলেও এখানে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন চালু রয়েছে। চীনে বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলেও হংকং তা আদায় করে নিয়েছে যা স্বাধীতাকামীদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশি নির্যাতন, বিতর্কিত প্রত্যর্পণ বিল সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং হংকংয়ের নেতা ক্যারি লামের পদত্যাগের বিষয়ে স্বাধীন তদন্ত দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভকারীরা সপ্তাহব্যাপী বিমান বন্দরে অবস্থানের পরিকল্পনা করছেন। তারা পুলিশ এবং ক্যারি লামের দিকে নির্দেশ করে বিভিন্ন ভাষায় লেখা ব্যানার হাতে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া তারা চলমান বিক্ষোভের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে শিল্পকর্ম সম্বলিত লিফলেটও বিতরণ করছেন।
এক বিক্ষোভকারী রয়টার্সকে জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার বাধা দেয়নি এমনকি ঘটনাস্থলে পুলিশের দেখাও মেলেনি। পুলিশ বাধা না দেয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী চলবে বলেও জানান তিনি। বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তাদের কর্মসূচীর প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বিক্ষোভের মাঝে তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলবে। জুলাইয়ের ২৬ তারিখেও এ ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচী কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।
মার্কিন মুখপাত্র মর্গান ওর্টাগুজ গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে চীনকে একটি অমানবিক অঞ্চল বলে আখ্যা দেন। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের সাথে আলাপরত এই কূটনীতিকের ছবিও আসে গণমাধ্যমে। একই দিনে মার্কিন নাগরিকদের জন্য হংকং ভ্রমণে সতর্কবার্তাও জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব