২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো সংকোচনে ব্রিটিশ অর্থনীতি
নূর মাজিদ : যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (ওএনএস) প্রকাশিত সা¤প্রতিক তথ্যানুসারে সদ্য সমাপ্ত প্রান্তে দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জন থেমে গেছে। জুন থেকে তিন মাসে উল্টো দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে অর্থনীতি। গত শুক্রবার এই তথ্য জানানো হয়। খবর : বিবিসি, সিএনএন।
এই খবর অনেকটাই অপ্রত্যাশিত ছিলো অর্থনীতিবিদদের কাছে। তাদের অধিকাংশই অনুমান করেছিলেন পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় জিডিপির আকার সংকোচন নয় বরং প্রবৃদ্ধির হার অপরিবর্তিত থাকবে। যার কারণেই সংকোচনের তথ্য প্রকাশের পর ব্রেক্সিট পরবর্তী মন্দার শঙ্কা তীব্র হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের কাছে। এই অবস্থায় বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রীত্ব নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। জনসন ৩১ অক্টোবর নাগাদ চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার ব্যাপারে অনড় অবস্থানে। চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ইতোমধ্যেই দুর্বল অর্থনীতির গোঁড়া আরো কমজোরি করে তুলবে, শঙ্কাটা এখানেই। কারণ চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটে ইইউয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য শুল্ক বাঁধার মুখে পড়বে।
এদিকে শুক্রবার সংকোচনের তথ্য প্রকাশের পরেই মুদ্রাবাজারে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর ডলারের বিপরীতে দশমিক ৬ শতাংশ পরে যায়। জুলাই থেকে ডলারের বিপরীতে পাউন্ডের দর কমেছে টানা ৫ শতাংশ। আর শুক্রবার ইউরোর বিপরীতে দশমিক ৭ শতাংশ বিনিময় হার কমেছে মুদ্রাটির।
এদিকে ব্রিটিশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হারানোর কারণ হিসেবে ওএনএস এর জিডিপি শাখার প্রধান রব কেন্ট স্মিথ বলেন, সদ্য সমাপ্ত মেয়াদে পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম কমেছে। অবকাঠামো নির্মাণখাতেও স্থবিরতা দেখা গেছে।
চলতি প্রান্তে সংকোচনে পড়লেই যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দায় প্রবেশ করবে। টানা দুই প্রান্তে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সংকুচিত হলেই তাকে মন্দা বলে গণ্য করা হয়। সম্পাদনা : ইকবাল খান