মতিনুজ্জামান মিটু : বাংলাদেশের এক লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জনসহ বিশে^র ২০ লাখের বেশি মুসলমান হজ পালনে যেয়ে একটি করে পশু কোরবানি দিয়েছেন। সৌদি আরব, ঢাকার বাংলাদেশ হজ অফিস, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ ও বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বরাতে ধর্মমন্ত্রণালয়ের মক্কার আইটি হেল্পডেস্ক জানায়, সৌদি আরবের মিনায় অবস্থান নেয়ার মধ্য দিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু এবং রোববার ঈদুল আজহার দিন পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে শেষ হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা।
আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পর হজের অংশ হিসেবে জামারায় (শয়তানকে পাথর মারার স্থান) পাথর মেরে হাজিরা পশু কোরবানির প্রস্তুতি নেন। ১০ জিলহজ হজ শেষ হওয়ার পর থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত এসব হাজীরা পশু কোরবানি দিয়েছেন। হাজিদের একটি অংশ নিজে মুস্তাহালাকায় (পশুর হাট ও জবাই করার স্থান) গিয়ে কোরবানি দেন। একটি অংশ ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকে (আইডিবি) ৪৯০ রিয়াাল জমা দিয়ে তাদের মাধ্যমে কোরবানি দেন। এক রিয়াল এর বিনিময় মূল্য ২১দশমিক ৪৯ টাকা। এই হিসেবে ৪৯০ রিয়ালের মোট মূল্য হয় বাংলাদেশী মুদ্রায় ১০ হাজার ৫৩০ দশমিক ১০টাকা। এই হিসেবে বাংলাদেশের এক লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জন হাজী মোট ১৩৩ কোটি ৮৯ লাখ ২৩ হাজার ২৭৫ দশমিক ৭৫ টাকার পশু কোরবানি দিয়েছেন।
বাংলাদেশের হাজিদের একটি অংশ প্রবাসী, বিশেষ করে নিজ জেলার কোনো প্রবাসীর মাধ্যমে কোরবানি দেন। এই প্রবাসীরা মূলত হজ উপলক্ষে পশু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকেন। হজে কোরবানির পশুর মধ্যে ছাগল, দুম্বা, উট অন্যতম। বাংলাদেশিরা উট কোরবানি খুব কমই দিয়ে থাকেন। প্রাথমিক হিসেবে এবার বাংলাদেশের এক লাখ ২৭ হাজার ১৫২ জনসহ সারা বিশ্ব থেকে অন্তত ২০ লাখ লোক পবিত্র হজ পালন করছেন বলে সুত্র জানায়। এদের সবাই আলাদাভাবে একটি করে পশু কোরবানি দিয়েছেন। এসব হাজীরাই ২০ লাখ পশু কোরবানি করেছেন। সম্পাদনা : ওমর ফারুক