এস এম সাব্বির, এমামুল হক ও ফাতেমা আহমেদ : বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ১২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বেদির পাশে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অর্নার প্রদান করা হয়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। সাদা কালো শাড়ি পরিহিত প্রধানমন্ত্রীর মুখে ছিলো শোকের অবয়ব। পিতার সমাধি সৌধে সৃষ্টি হয় শোকাবহ পরিবেশ।
প্রধানমন্ত্রী পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও পিতা বঙ্গবন্ধু, মাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাত করেন।
পরে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দদের নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শোক দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রীয় এসব কর্মসূচি শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী শোক দিবসের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বেলা ১১টায় সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা শরিক হন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাইদ খোকন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়।
সকাল ৬টার মধ্যেই অগণিত মানুষের পদচারণায় ভরে ওঠে ৩২ নম্বর সড়ক। হাতে কালো ব্যানার ও বুকে কালোব্যাজ ধারণ করে নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ। হালকা বৃষ্টি হলেও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে হাজারো মানুষ। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান