আবু আহমেদ বললেন, ‘কাঁচা চামড়া’ নিয়ে যারা কারসাজি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত
আমিরুল ইসলাম : অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেছেন, ‘কাঁচা চামড়া’ নিয়ে একটা কারসাজি ও ষড়যন্ত্র হয়েছে। এটাকে সরকারের বরদাশত করা উচিত নয়। সে যাই হোক, যারাই হোক।
তিনি বলেন, কাঁচা চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট হয়েছে, এটা সরকার নিজেই স্বীকার করছে। সিন্ডিকেট হওয়াটা বেআইনি। এটা একধরনের অপরাধ। কিছু লোকের সুবিধার জন্য গরিব লোকের তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গত পনেরো বছরের মধ্যে এমনটা আর দেখা যায়নি। যেখানে চামড়ার চাহিদা বেশি হওয়ার কথা সেখানে চামড়া এবার ফেলে দেয়া হয়েছে। বৈশ্বিকভাবেই কাঁচা চামড়ার একটা চাহিদা রয়েছে। সিন্ডিকেটের ব্যাপারে সরকার থেকে তদন্ত করে দেখা উচিত। বাইরে রপ্তানি করা শেষ সিদ্ধান্ত। নিজের দেশে দাম না পাওয়া গেলে বিদেশে রপ্তানি তো করতেই হয়। ট্যানারি মালিকরা বলুক, কেন তারা চামড়া ক্রয় করতে পারেননি। যারা পূর্বের ঋণ শোধ করেছেন তাদের ব্যাংক থেকে নতুন করে ঋণ দেয়া হয়েছে। যারা শোধ করেননি তারা ঋণ প্রাপ্য নন। ব্যাংক তো দাতব্য সংস্থা নয়। যেখানে চামড়ার দাম এক থেকে দেড় হাজার টাকা হওয়া উচিত ছিলো সেখানে এক-দেড়শ টাকায় মানুষ চামড়া বিক্রি করতে পারেনি। ব্যবসায়ীরা কি বিনা পয়সায় চামড়া নিতে চাইলেন? এ বিষয়টিকে সরকারের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। এটা একটা ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম। এক-দু’শ টাকা কাঁচা চামড়ার দাম করে চামড়া শিল্প ধরে রাখার ভালো পথ নয়। চামড়া শিল্পকে বৈশ্বিকভাবে প্রতিযোগী হতে হবে। ভারতে কীভাবে চামড়ার দাম বেশি, এমন প্রশ্নও রাখেন এই অর্থনীতিবিদ।