‘কাঁচা চামড়া’ রপ্তানি করার মানে হচ্ছে আমাদের চামড়া শিল্পের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করা, বললেন ড. আবদুল মজিদ
আমিরুল ইসলাম : বলা হচ্ছে পাট শিল্পের পর চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এর কোনো বাস্তব ভিত্তি আছে কিনা এবং চামড়া শিল্পকে রক্ষা করার জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন জানতে চাইলে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মজিদ বলেছেন, ‘কাঁচা চামড়া’ রপ্তানি করার মানে হচ্ছে আমাদের চামড়া শিল্পের বিপুল সম্ভাবনাকে ধ্বংস করা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের বিরাট ঐতিহ্য এবং সম্ভাবনা আছে। এটাকে উন্নত করার জন্য যুগে যুগে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মুসলিম প্রধান দেশে হিসেবে আমাদের দেশে প্রচুর চামড়ার উৎপাদন হয়। কাঁচা চামড়াকে প্রক্রিয়াজাত করে যদি রপ্তানি করতে পারি তাহলে আমরা দ্বিগুণ রাজস্ব অর্জন করতে পারবো। ফিনিশড প্রোডাক্ট হিসেবে রপ্তানি করতে পারলে আমরা চারগুণ অর্থ আয় করতে পারবো। অর্থাৎ শুধু চামড়া শিল্প থেকেই আমাদের অর্থনীতির একটি বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু গত আটচল্লিশ বছর ধরে আমরা দেখছি যখনই চামড়ার মৌসুম আসে তখনই বিভিন্ন পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য শোনা যায়। চামড়া নীতিতে বা শিল্পে মূল লক্ষ্য ছিলো আমরা ক্রমান্বয়ে প্রসেস্ড চামড়া রপ্তানি থেকে ফিনিশড চামড়া রপ্তানিতে যাবো। এজন্য আমরা কয়েকটি দেশের সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চারও করেছি। কিন্তু প্রতি বছরই দেখা যায় আমরা চামড়া রপ্তানিতে এখনো নাজুক ও অপরিকল্পিত অবস্থাতেই রয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, চামড়া শিল্পের জন্য যা যা করণীয় এটা আমাদের নীতিমালাতে থাকলেও আমরা তার বাস্তবায়ন করছি না। এটা না করে কাঁচা চামড়া রপ্তানি করার ক্ষেত্রে বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যার ফলে আমাদের আর্থিক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম। এতোগুলো নীতি থাকার পরও কেন সেগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না? সবসময় সিন্ডিকেটের একটি অভিযোগ ছিলো। এবার এটা বেশ চরমভাবে দেখা গেছে। সরকারিভাবে আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাগুলো অত্যন্ত অপরিকল্পিত। রাষ্ট্রের অপরিকল্পনা থাকা মানে হচ্ছে সিন্ডিকেটের কাছে ধরা দেয়া।