স্বপ্না চক্রবর্তী : ত্রি-পক্ষীয় দ্বন্দ্ব কাটিয়ে অবশেষে কাঁচা চামড়া বিক্রি শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে রাজধানীসহ সারা দেশের আড়তদাররা ট্যানারি মালিকদের কাছে লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া বিক্রি করছে। তবে বিগত বছরগুলোর পাওনা আদায়ে এখনো শঙ্কিত বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীরা।
এ ব্যাপারে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সাড়া দিয়ে আমরা লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া বিক্রি শুরু করলেও বিগত বছরের পাওনাগুলো কিভাবে আদায় হবে আমাদের জানা নেই। মন্ত্রণালয় এবং এফবিসিসিআই আদায়ের চেষ্টা করছে তারপরও আমরা আশ^স্ত হতে পারছি না। তিনি বলেন, ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ট্যানারি মালিকদের কাছে আমাদের পাওনা প্রায় ৪০০ কোটি টাকার মতো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আমাদের পাওনা টাকা আদায়ের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে এফবিসিসিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে আমরা ২২ আগস্ট আবারও বসবো। এফবিসিসিআই দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব কাটিয়ে সমঝোতা করাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সহসভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, সবার আলোচনায় প্রেক্ষিতে দুই পক্ষের বিবাদ মিটে যাবে বলে আমরা আশা করছি আমরা।
এদিকে কোনো কোনো ট্যানারির কাছে কিছু বকেয়া আছে বলে দাবি করছেন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা সব পক্ষ চামড়া কেনা-বেচার বিষয়ে একমত হয়েছি। সে অনুযায়ী আজ (গতকাল) থেকে পুরোদমে সারাদেশে আমরা লবণযুক্ত কাঁচা চামড়া কিনছি। কিন্তু ব্যবসা করতে হলে যেহেতু দেনা-পাওনার বিষয়টি থাকবে তেমনি থাকবে লেনদেনও। তাই আলোচনা সাপেক্ষেই এসব সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরও কোরবানিতে চামড়ার দরপতন হয়। ব্যবসায়ীরা রাস্তায় চামড়া ফেলে চলে যান। অনেক জায়গায় মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঈদের পরদিন সরকার ঘোষণা দেয় চামড়া রপ্তানির। তারপরেই নড়েচড়ে বসে ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল থেকে চামড়া কেনা-বেচায় সম্মত হয় দুই পক্ষ। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান