লিহান লিমা: হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম বলেছেন, আন্দোলনরত নাগরিকদের সঙ্গে অতিসত্বর আলোচনা করতে চান তিনি। এই সময় দেশটিতে গত এক সপ্তাহের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ এই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে এবং আলোচনার পথ তৈরি করবে। যদিও ১১তম সপ্তাহের মতো আন্দোলন অব্যাহত রাখা বিক্ষোভকারীরা এটিকে ‘ফাঁদ’ বলে মন্তব্য করে আলোচনার আহবান প্রত্যাখ্যান করেছেন। চ্যানেল নিউজ এশিয়া, দ্য গার্ডিয়ান।
মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে ক্যারি লাম বলেছেন, তিনি বর্তমান বিভেদগুলো নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত। এই সময় তিনি আরো বলেন, মাসব্যাপী বিক্ষোভে হংকংয়ের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, এমনটি চলতে থাকলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। হংকংয়ের গত বছরের অর্ধ-বার্ষিক অর্থনৈতিক তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, এই বিক্ষোভ অর্থনীতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। গত সপ্তাহে হংকংয়ের সরকার বলেছিলো, বিক্ষোভের ফলে ২০১৯ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য শতাংশ থেকে ১ শতাংশ, যা হওয়ার কথা ছিলো ২ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ। টানা বিক্ষোভে দেশটির এয়ারলাইন, খুচরো বিক্রি, রিয়েল এস্টেট খাতের বাজার চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে। বিশ্বের অন্যতম পঞ্চম ব্যস্ততম হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ফ্লাইট গতমাসে বারবার বাতিল করা হয়েছে।
সাবেক ব্রিটিশ কলোনি হংকংকে ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দেশটির পার্লামেন্টে আনা চীনে অপরাধী প্রত্যপর্ণ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। পরে বিলটি ‘অকার্যকর’ বলে ঘোষণা করা হলেও পরবর্তীতে এটি গণতন্ত্র, নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতাকামী আন্দোলনে রুপ নেয়। মঙ্গলবার লাম আবারো বলেন, চীনে বহিসমর্পণ বিলটি এখন ‘মৃত’ এবং এটিকে পুনরায় চালু করার কোন পরিকল্পনা নেই। সম্পাদনা : ইকবাল খান