লিহান লিমা: ফ্রান্সের বিয়ারিটজে শুরু হওয়া জি-৭ সম্মেলন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এর মধ্যেই বিক্ষোভ করেছেন জলবায়ু অধিকার কর্মী, পুঁজিবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধীরা। বিক্ষোভকারীরা যাতে বিশ্বনেতাদের কাছাকাছি পৌঁছতে না পারে সেজন্য পূর্বেই বিয়ারিটজে ১৩ হাজার পুলিশ মোতায়েন করে ফ্রান্স। রোববার জলবায়ু পরিবর্তন, আদিবাসীদের সুরক্ষা, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ও অন্যান্য ইস্যুতে বিক্ষোভ করে হাজারো মানুষ। তারা জি-৭ নেতাদের প্রতিকী হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এএফপি, রয়টার্স, মেট্রো
বিক্ষোভকারী গায়েল গিলস বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে চলছে প্রকট বৈষম্য। আমি এখানে জি-৭ নেতাদের বলতে এসেছি যে, তারা জলবায়ুসহ অন্যান্য ইস্যুতে সঠিক পথ দেখাতে পারছেন না। একজনের ব্যানারে লেখা ছিলো, ‘রাষ্ট্রপ্রধানগণ, পদক্ষেপ নিন, অ্যামাজন জ্বলছে।’ আরেকজন নটরডেমের আগুনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘যদি জলবায়ু ক্যাথেড্রাল হতে তবে আমরা ইতোমধ্যেই এটিকে বাঁচাতাম। এলেন মাসানা বলেন, ‘অ্যামাজন জ্বলছে ও গলছে আর্কটিকের বরফ। ‘ধনীরা আরো ধনী হচ্ছে অন্যদিকে গরিবরা নিঃস্ব।’
৯ হাজারেরও বেশি জি-৭ বিক্ষোভকারী ফ্রান্সের হেনদেই থেকে স্পেনের ইরুন পর্যন্ত মার্চ করে। এটি শান্তিপূর্ণ হলেও কিছু কিছু স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধেছে। বিয়ারিটজ থেকে আট কিলোমিটার দূরের বেয়োনিতে ৩’শরও বেশি বিক্ষোভকারী পুঁজিবাদ বিরোধী স্লোগান দেয়। বিক্ষোভকারীদের একাংশ ফ্রান্সের সিটি সেন্টারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পথ আটকায়। ১ ঘণ্টা বিক্ষোভকারীদের ঠেকিয়ে রাখার পর পুলিশ তাদের ওপর জলকামান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। কয়েকজনকে আটক করা হলেও পুলিশ নির্দিষ্ট সংখ্যা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে গণমাধ্যমগুলো বলছে, ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৮জনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এর আগে শনিবার ফ্রান্সের উরগুনে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন ৪ পুলিশ। সম্পাদনা : ইকবাল খান